শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সাগরে লঘুচাপ, বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত চট্টগ্রামে মার্কেটে ভয়াবহ আগুন, নিহত ৩ ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু: ওবায়দুল কাদের বিষয় ছাড়া কীভাবে ডায়ালগ হবে? প্রধানমন্ত্রীকে ড. ইউনূসের প্রশ্ন সব ধরনের সবজির বাজার উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল পাউবো’র ৮টি জোনের মধ্যে প্রথম স্থানে ফরিদপুর মুখোমুখি বিতর্কে বাইডেনের চেয়ে ট্রাম্প এগিয়ে আজ ফুটবলার রাউল গঞ্জালেজের জন্মদিন ‘খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় বেসরকারি হাসপাতালে গেছেন, দায় সরকারের না’ ৪০ লাখ ডলার জেতার আনন্দে হার্ট অ্যাটাক করলেন তিনি নতুন শিক্ষাক্রমে গ্রামের অভিভাবক খুশি, আপত্তি শহুরে বাবা-মায়ের আল-আকসার ইমামের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনল ইসরায়েল ডিএনসিসির অভিযানে ৬০টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে ১০ বিঘা ভূমি উদ্ধার আমের রপ্তানি বাড়াতে কাজ করছে সরকার : কৃষিমন্ত্রী তিন সেতু থেকে টোল আদায় ১৪৭২ কোটি টাকা ফল ও সবজির রপ্তানি বাড়াতে পর্যাপ্ত এয়ার কার্গো চান ব্যবসায়ীরা এবি ব্যাংকের মোংলা সমুদ্রবন্দর উপশাখার উদ্বোধন শুক্রবার ভোট, কে হচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট বাহাউদ্দিন নাছিমের সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের মতবিনিময় সভা টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার

পারষ্পরিক ভালোবাসা মুসলিম ভ্রাতৃত্ব সুদৃঢ় করে

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০২২
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

একজন মানুষ তার ব্যক্তিজীবনে যত বেশি সমৃদ্ধই হোক না কেন, সে জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে ধর্ম, বর্ণ-গোত্র-নির্বিশেষে সবার কাছ থেকে সহযোগিতা গ্রহণ করতে বাধ্য। কারণ মানুষ সৃষ্টিগতভাবে সামাজিক জীব। একাকী জীবনযাপন করা কোনো মানুষের পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই ইসলামের দাবি হচ্ছে সমাজে বসবাসরত সবাই ঐক্য, সংহত ও সৌহার্দ্যপূর্ণ জীবনযাপনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

আর সম্প্রীতিপূর্ণ একটি পরিবেশ নিশ্চিত করবে। বিশ্বনবী (সা.)-এর সাহাবিগণের বৈশিষ্ট্য পেশ করে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘তারা পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল। ’ (সুরা : ফাতাহ, আয়াত : ২৯)

সুরা বালাদ এ সফলকাম দলের পথ বর্ণনায় ১৭ নম্বর আয়াতে বলেন, ‘যারা ঈমান এনেছে এবং পরস্পরকে উপদেশ দিয়েছে ধৈর্যধারণের, আর পরস্পর উপদেশ দিয়েছে দয়া-অনুগ্রহের। ’

এ আয়াতে ঈমানের পর মুমিনের এই কর্তব্য ব্যক্ত করা হয়েছে যে সে অপরাপর মুসলিম ভাইকে ধৈর্য ও অনুকম্পার উপদেশ দেবে। এখানে ধৈর্য বলতে বোঝানো হয়েছে নিজেকে মন্দ কাজ থেকে বাঁচিয়ে রাখা ও সৎকর্ম করা। আয়াতে ‘মারহামাহ’ শব্দটি এসেছে, যার অর্থ অপরের প্রতি দয়ার্দ্র হওয়া। অপরের কষ্টকে নিজের কষ্ট মনে করে তাকে কষ্টদান ও জুলুম করা থেকে বিরত থাকা।

মহানবী (সা.) উম্মতের মধ্যে এই রহম ও সহানুভূতির মতো উন্নত নৈতিক বৃত্তিটিকেই সবচেয়ে বেশি প্রসারিত ও বিকশিত করতে চেয়েছেন। হাদিসে এসেছে, ‘যে মানুষের প্রতি রহমত করে না আল্লাহ তার প্রতি রহমত করেন না। ’ (বুখারি, হাদিস : ৭৩৭৬)

অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যে আমাদের ছোটদের রহমত করে না এবং বড়দের সম্মান পাওয়ার অধিকারের প্রতি খেয়াল রাখে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৪৩)

ইসলামে সম্প্রীতিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ জীবনযাপনের প্রশিক্ষণ দিতে গিয়ে আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, মহানবী (সা.) বলেন, ‘ওই পবিত্র সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ, তোমরা কেউ ততক্ষণ জান্নাতে যেতে পারবে না, যতক্ষণ ঈমান আনয়ন না করবে। আর ততক্ষণ পরিপূর্ণ ঈমান আনয়ন করতে পারবে না, যতক্ষণ একে অপরের প্রতি দয়ার্দ্র না হবে। আমি কি তোমাদের এমন এক পন্থা বলে দেব, যার প্রয়োগে তোমাদের পরস্পরের মহব্বত বৃদ্ধি পাবে। সেটি হচ্ছে, তোমরা পরস্পরে সালাম দেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি করো। ’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১০১৮০)

ইসলাম এতটাই উদার ধর্ম যে এখানে অমুসলিমদের সঙ্গেও সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। অমুসলিমদের সঙ্গে একজন মুসলমানের ব্যক্তিগত আচরণ কেমন হবে, তার শিক্ষা পাওয়া যায় বুখারি শরিফের এই বর্ণাটিতে, যেখানে আসমা (রা.) বর্ণনা করেন, ‘হুদায়বিদায় সন্ধির পর তিনি তাঁর অমুসলিম মায়ের সঙ্গে আচরণ সম্পর্কে মহানবী (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলে জবাবে তিনি বলেন, ‘মা যে-ই হোন না কেন, তাঁর সঙ্গে সদাচরণ করতেই হবে। ’

আল্লাহ আমাদের সবাইকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ধর্মীয় বিধান যথাযথ পালন করার পাশাপাশি পার্থিব জীবনেও সাম্য ও সম্প্রীতিময় জীবনাচারের মাধ্যমে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ সমাজ বিনির্মাণের তাওফিক দান করুন। আমিন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com