রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছে মিঠু মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদরোগে মৃত্যুর ছাড়পত্র পাওয়ার পর দাফনের জন্য বাড়ি নিয়ে যান স্বজনরা।
তবে স্থানীয়দের বাধায় মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) ভোরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃত মিঠু হারাগাছ পৌর এলাকার দালালহাট মাস্টার পাড়ার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিঠু একজন মানসিক রোগী। তিনি বিয়ে করেননি। মাঝে মধ্যে ভাইসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের গালাগাল করতেন। ১৩ মার্চ বাড়ির ভেতরে ঢুকে গালাগালি করতে থাকলে বড় ভাই বাবু প্রতিবাদ করেন। এ সময় দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় এগিয়ে আসেন বাবুর স্ত্রী ফুল বেগম। দুজনের হাতাহাতিতে ধাক্কা লেগে মাটিতে পড়ে যান তিনি।
খালাতো ভাই আসাদ ও তুষারকে গিয়ে বিষয়টি জানান ফুল বেগম। এতে আসাদ ও তুষার ক্ষিপ্ত হয়ে মিঠুকে বেধড়ক মারধর করেন। এক পর্যায়ে মিঠু অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কার্ডিওলজি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। তবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে ছাড়পত্রে উল্লেখ করা হয়।
পরে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে দাফনের উদ্যোগ নিলে গ্রামবাসী বাধা দেন। তাদের অভিযোগ, মারধরের কারণে মিঠুর মৃত্যু হয়েছে।
হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, মিঠুর মৃত্যুর ঘটনায় পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য পরিবারের লোকজন কোনো সহযোগিতা করেননি। মৃত্যুর ঘটনাটি সন্দেহ হলে আজ ভোরে বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ