মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
২ লাখ ৩৮ হাজার বেকারের কর্মসংস্থান করবে বেজা খালেদা জিয়াকে বার্তা পাঠিয়ে যা বললেন জিএম কাদের ইসলামী ব্যাংকের ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম উদ্বোধন এলএনজি ও চাল আমদানি, ব্যয় ১০২৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা নাঈমুল ইসলাম খান ও তার পরিবারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বিমসটেক সেক্রেটারি জেনারেলের সাক্ষাৎ প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা কবে নাগাদ সব শিক্ষার্থী পাঠ্যবই পাবে জানি না: শিক্ষা উপদেষ্টা ট্রাইব্যুনালের মূল ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি পুলিশে চাকরি পাচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে আহত ১০০ জন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় শুনানি মুলতবি সচিবালয়ের গেটে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ পাঁচ মাসে আর্থিক স্থিতিশীলতায় খুব বেশি খুশি নয় বাংলাদেশ ব্যাংক জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে ৮ পরিচালক নির্বাচিত রংপুরের বিপক্ষে এবার ঢাকা অলআউট ১১১ রানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে তিব্বতে নিহত বেড়ে ৯৫ স্ত্রী-ছেলেসহ নাফিজ সরাফতের বাড়ি, জমি ও ১৮ ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ ফরিদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ৫ যাত্রী নিহত জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ১০০ জনের কর্মসংস্থানের প্রস্তাব

পণ্যের ক্রমাগত মূল্য বৃদ্ধিতে বিপর্যস্ত ক্রেতারা

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা
  • আপলোড সময় রবিবার, ৬ মার্চ, ২০২২
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

মাছে-ভাতে বাঙালি প্রবাদের প্রচলন থাকলেও বাস্তবতা ভিন্ন। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের পাতে যেন ডাল-ভাতেও টান পড়তে চলেছে। আর বাজারে এসে দামের সঙ্গে না পেরে নিজেদের বেহাল দশা তুলে ধরছেন ভোক্তারা। এদিকে দোকানিরা বলছেন, কমেছে ক্রেতা, কমেছে বিক্রিও।

মাছে ভাতে বাঙালি বলা হলেও বাঙালির পাত থেকে মাছ যেন হারাতে বসেছে।

লাগাতার ঊর্ধ্বমুখী দামের আঁচ তাঁতানো মাছের বাজারে। অবশ্য কয়েকদিনে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়ে যাওয়াকে স্বাভাবিকই মনে করছেন বিক্রেতারা। বাজারে পণ্যের দাম বাড়া নিয়ে বিক্রেতারা বলেন, বাজারে ক্রেতাই নেই। অন্যান্য জিনিস কিনতে পকেটে টাকাই থাকে না।

এদিকে বাজারে আসা ক্রেতারা বলেন, মাছে-ভাতে বাঙালি এ প্রবাদ টা অনেক আগেই বাংলাদেশে থেকে চলে গেছে। আমরা ডালে-ভাতে বাঙালি হতে চেয়েছিলাম, তবে সেটাও আমাদের জন্য বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

দুই তিন দিনের ব্যবধানে মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই চিকন চালের দামও বেড়েছে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা। মোটা দানার এক কেজি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। সরকারি হিসাবে এক বছরে বেড়েছে ৩০ টাকা।

বাজারে চালের সংকটের কথা জানিয়ে চাল বিক্রেতারা জানান, মিল মালিকরা বলেছে ধানের সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। আজ তিন দিন যাবত চালের বাজারে বেশ ঊর্ধ্বগতি রয়েছে। মিনিকেটে কেজি প্রতি প্রায় ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে ও নজিরশাহ চালের কেজি প্রতি ৩ টাকা বেড়েছে।

আর চিনিতে বেড়েছে ২ টাকা। বাড়তি মসলার বাজারও। তাই ডাল ভাতের হিসাব মেলানোও যেন দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্তদের।

পণ্যের ক্রমাগত দাম বাড়ায় বিপর্যস্ত ক্রেতারা আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, বাজার তদারকির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান সবচেয়ে খারাপ। দেশে একবার কোনো পণ্যের দাম বাড়লে তার আর কমার কোনো নাম নেই। বাড়ছে তো বাড়ছেই।  

দাম বৃদ্ধির দৌড়ে যেন পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে একেকটি পণ্য। এই দৌড়ে ঘাম ছুটে যাওয়া ভোক্তারা চান বাজারে চাহিদা মতো পণ্যের সরবরাহ, আর কষ্ট করে হলেও নিত্যপণ্যের দাম যেন থাকে তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাবের মধ্যে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com