শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:০৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুলসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবিতে লিফলেট বিতরণ এবার কারও পক্ষ নিয়ে কাজ করলে অসুবিধা হবে : কর্মকর্তাদের সিইসি অল্প কিছুদিনের মধ্যে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল ইসলামী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা চুরি শেখ হাসিনার দুর্নীতি খুঁজে বের করতে টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত ডিএমপির ১২ ডিসিকে বদলি ‘বৃহত্তর ইসরাইলের’ মানচিত্র প্রকাশ, আরব দেশগুলোর কড়া প্রতিবাদ বিমানবন্দরে রক্তাক্ত সেই প্রবাসীকে জরিমানা, হতে পারে জেলও ৩০ জুনের আগেই মহার্ঘভাতা ঘোষণা মানিকগঞ্জে ডিসির রুমের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান দাবি মানার আল্টিমেটাম দিয়ে ‌‌শাহবাগ ছাড়লেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা শরীয়তপুরে থানা থেকে ওসির মরদেহ উদ্ধার নিক্সন ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে ৩ হাজার ১৬২ কোটি টাকা লেনদেন শহীদ মিনারের পর শাহবাগ অবরোধ বিডিআর সদস্যের স্বজনদের জেনেভা ক্যাম্পের আলোচিত সন্ত্রাসী চুয়া সেলিম গ্রেপ্তার মা‌র্কি‌নিদের হয়ে ঢাকায় বিশেষ দা‌য়িত্ব সামলাবেন ট্র্যাসি জ্যাকবসন বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জনের বেশিরভাগই চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন রাশিয়ায় বিমানবাহিনীর তেলের ডিপোয় ইউক্রেনের হামলা হাইভোল্টেজ ম্যাচে টস জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো রংপুর

ভর্তি ফরম বিক্রির টাকা ‘ভাগ-বাটোয়ারা’র তদন্ত শুরু

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রির আয় থেকে উদ্বৃত্ত ৮ কোটি ১ লাখ ২২ হাজার টাকা শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করার অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

আজ বুধবার দুপুরে তদন্তের জন্য ইউজিসির তিন সদস্যের কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদের অধীনে ৩৪টি বিভাগ ও চার ইনস্টিটিউটে আসন রয়েছে এক হাজার ৮৮৯টি। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য আবেদন জমা পড়ে তিন লাখ ৫৯ হাজার ৯৬২টি।

ভর্তি ফরম বিক্রি করে ১৯ কোটি ৯৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা আয় করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে জাহাঙ্গীরনগরে ভর্তির আবেদন ফরম বিক্রি করে মোট আয় হয়েছে ১৯ কোটি ৯৩ লাখ ৩৬ হাজার ২০০ টাকা। অন্যদিকে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করতে মোট ১০ কোটি ২১ লাখ ২২ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সম্মানী ভাতা বাবদ খরচ হবে আট কোটি এক লাখ ২২ হাজার টাকা। অন্য খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই কোটি ২০ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিজ্ঞাপন, ভর্তি নির্দেশিকা ছাপা, পরীক্ষার সরঞ্জাম ক্রয়সহ কয়েকটি খাত রয়েছে।

ইউজিসি সূত্র জানায়, ভর্তি ফরম বিক্রি থেকে প্রাপ্ত আয়ের ৬০ শতাংশ অর্থ ভর্তি পরিচালনার সার্বিক ব্যয় নির্বাহ করতে ব্যয় করার নিয়ম আছে। বাকি ৪০ শতাংশ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে জমা রাখতে হয়। কিন্তু এই অর্থ ভাগ বাটোয়ারা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই অভিযোগ তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে।

তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক আবু তাহেরের সঙ্গে কমিটির সদস্য ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপপরিচালক মোস্তাফিজার রহমান এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক গোলাম দস্তগীর উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে উপাচার্য ফারজানা ইসলাম, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) নূরুল আলম, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) শেখ মো. মনজুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ রাশেদা আখতার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে আবু তাহের সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার আর্থিক হিসেবের সব নথিপত্র সংগ্রহ করেছি আমরা। তদন্তের বাকি কাজ শেষ করে শিগগিরই বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। ‘

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার বলেন, ‘তাঁরা আমাদের কাছে যেসব নথিপত্র চেয়েছে, আমাদের কাছে সেসব নথিপত্র ছিলো। আমরা তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছি। বাকিটা তদন্ত কমিটির ব্যাপার। ’

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com