বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪, ১১:০০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
বেতনভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারী কীভাবে শত কোটি টাকার মালিক অটোরিকশা উল্টে প্রাণ গেল ইমামের ২৯২ হজযাত্রীর ভিসা না হওয়ায় ৯ এজেন্সিকে শোকজ নিয়োগে দুর্নীতি : ভিকারুননিসার সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা উন্নয়ন সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের সমন্বয় বৃদ্ধির জন্য ডেটাবেইজ হচ্ছে কৃষি পণ্যে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম কমাতে বললেন প্রতিমন্ত্রী আরও ৬টি মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানের লেনদেন সহজ হলো বিকাশ-এ সংসদে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে বিশেষ আইন প্রণয়নের আহ্বান কলকাতা থেকে ফিরে যা বললেন ডিবিপ্রধান হারুন রেমা‌লে ক্ষয়ক্ষতি : শেখ হাসিনাকে জাপা‌নের প্রধানমন্ত্রীর চিঠি ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক এমপি মনজুর হোসেন আর নেই সোমালি জলদস্যুদের প্রতিরোধে কিছুই করার নেই আইএমওর নীলফামারীতে ঝড়ে বিধ্বস্ত ৩০০ ঘরবাড়ি নারায়ণগঞ্জে অপহরণ করে শিশু হত্যায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড ১০ মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড দিনাজপুর পুঁজিবাজার সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে : সালমান এফ রহমান কাশ্মীরে থানায় ঢুকে পুলিশ সদস্যদের পেটাল সেনারা ফলমূলে ফরমালিন বিক্রিয়া করে না : বিএফএসএ ১৯ লাখ সরকারি পদে খালি পৌনে ৪ লাখ শনিবার ‘ভিটামিন এ প্লাস’ ক্যাপসুল পাবে ২ কোটি ২২ লাখ শিশু

বছরে ৫ লাখ টাকার বরই বিক্রি করেন জুলফিকার

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৪৭ বার পড়া হয়েছে

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের খাগা গ্রামের জুলফিকার আলী শিক্ষকতার পাশাপাশি সাড়ে ৭ বিঘা জমিতে আপেল কুল জাতের বরই চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি বরইয়ের কাশ্মীরি জাতের আপেল কুল চাষে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন।

জানা যায়, খাগা গ্রামের জুলফিকার আলী ২০০৯ সাল থেকে আপেল কুল চাষ করে আসছেন। সাড়ে ৭ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে তিনি এই কুল বরই চাষ করছেন। ২০০৯ সালে ১০০ চারা দিয়ে শুরু করেন।

আজ তার বাগানে ২৫০টি গাছ রয়েছে। প্রতিবছর এই গাছগুলোর পরিচর্যা ও জমির খরচ হয় প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। আর প্রতি বছর ফল বিক্রি করেন ৫ লাখ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। জুলফিকার আলী কাজীপুর উপজেলার বীর শুভগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি বর্তমানে তিনি একজন সফল কুল চাষি।

 

স্থানীয়রা জানান, শিক্ষক জুলফিকার আলীর কুল চাষ দেখে এলাকার লোকজন উৎসাহিত হচ্ছেন। অনেকেই কুল চাষে এগিয়ে আসছেন। অনেকেই তাকে দেখে কুল চাষ শুরু করেছেন। যে কেউ তার কাছ থেকে সহযোগিতা গ্রহণ করতে পারে।

কুল চাষি জুলফিকার আলী বলেন, ২০০৯ সালে ৬৫ হাজার টাকায় সাড়ে ৭ বিঘা জমি ভাড়া নিয়ে কুল চাষ করে আসছি। প্রতি বছর জমির ভাড়া ও বাগান পরিচর্যায় প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। প্রথম দুই বছর খুব একটা লাভ করতে পারিনি। কারণ প্রথম অবস্থায় বুঝতে পারিনি। আস্তে আস্তে এখন সব ঠিক হয়েছে।

 

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি গাছে ২০ থেকে ২২ কেজি আপেল কুল ধরেছে। প্রতিকেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি করছি। দামটাও বেশ ভালো পাচ্ছি। কুল দেখতে সুন্দর আবার খেতেও খুব মিষ্টি হয়েছে। বাগান থেকে কুল সরাসরি পাইকারদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুস্তম আলী জানান, সিরাজগঞ্জ সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় উন্নত জাতের আপেল কুলের চাষ হচ্ছে। জুলফিকার আলী এখন অভিজ্ঞ কুল চাষি। তিনি আপেল কুল চাষে সফলতা পেয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। তাকে দেখে আরো মানুষ এই কাজে উৎসাহিত হবে বলে আশা করছেন এই কর্মকর্তা।

বাংলা৭১নিউজ/এমকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com