হবিগঞ্জে গত কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনের অধিকাংশ সময়ই রোদের দেখা মেলে না। এ অবস্থায় মারাত্মকভাবে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাতে ৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
হঠাৎ করে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
সদর আধুনিক হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আশরাফ উদ্দিন জানান, প্রতি বছরের মতো এ বছরও প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়েছে। ফলে ঠান্ডাজনিত রোগও দেখা দিয়েছে। রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় চিকিৎসা দিতেও হিমশিম খেতে হয়।
তিনি বলেন, মৃত শিশুদের সবাই নবজাতক। তাদের অবস্থা যখন বেশি খারাপ হয়ে যায় তখন আমাদেরও কিছু করার থাকে না। তবে আমরা এ হাসপাতালে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, জেলায় গত কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়েছে। মাঝে মাঝেই হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। অনেক সময় দিনের অধিকাংশ সময়ই রোদের দেখা মেলে না। রাস্তায় গাড়িগুলোকে লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হয়।
শুধু তাই নয়, প্রচণ্ড শীতের করণে জেলায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিজ ও অ্যাজমা রোগ। এসব রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু। গত এক সপ্তাহে এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে কয়েকশ শিশু সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর মারা গেছে ৫ জন নবজাতক। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শিশুদের নিয়ে তাদের অভিভাবকরাও রয়েছেন দুঃশ্চিন্তায়।