দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার বিভিন্নস্থান থেকে একরাতেই এগারোটি তিন ফেজের বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চুরি হওয়া দুটি মিটারসহ আন্তজেলা চক্রের মূলহোতা দুই চোরকে আটক করে আজ মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমের দিনাজপুর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মিটার চুরির পর ওই স্থানে চোরদের নাম্বার লিখে যাওয়ার মাধ্যমে টাকা দাবি করা হয়।
সোমবার দুপুরে বগুড়া আদমদিঘী ও নওগাঁ সদর উপজেলার অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় নওগাঁ এলাকা থেকে একটি এবং বিরামপুর থানা এলাকা থেকে একটিসহ মোট দুইটি মিটার উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে বিকাশ নম্বর ব্যবহৃত মোবাইলটি জব্দ করা হয়।
আটককৃতরা,নওগাঁ সদর উপজেলার ভবানিপুর দক্ষিণপাড়া কাঁঠালতলী এলাকার নূরল হকের ছেলে আশিক হোসেন(২০) এবং বগুড়া আদমদীঘি উপজেলার মোড়লা সরদারের ছেলে মোঃ রমজান আলী (৩২)। বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,‘চলতি জানুয়ারী মাসের ৩ তারিখে বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইউনিয়নসহ উপজেলার বিভিন্নস্থানে রাতের বেলা এগারোটি তিন ফেসের হ্যাসকিং মিটার চুরি হয়ে যায়। চুরি হওয়া মিটারের পাশে চোরেরা তাদের ব্যবহৃত বিকাশ নম্বর লিখে রেখে যান। পরে তাদের সেই নম্বরে যোগাযোগ করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা দিলেই মিলছে চোরাই মিটার। এ ঘটনায় আবু সাঈদ নামের এক ব্যক্তি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।পরে পুলিশ চোরদের ব্যবহৃত নম্বরগুলো প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের আটক করেন।
মিটার চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ কারী আবু সাঈদ বলেন,‘এমাসের তিন তারিখে আমারসহ এই এলাকার মইনুল ইসলাম, আলম হোসেনের চারটি মিটার চুরি হয়। মিটারের স্থানে চোরদের বিকাশ নম্বর দিয়ে যায়। সেই নম্বরে আমরা চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে মিটারগুলো উদ্ধার করি।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)সুমন কুমার মহন্ত বলেন,‘ উপজেলায় হ্যাসকিং মিটার চুরির ঘটনায় এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে চোরদের ব্যবহৃত বিকাশ নম্বরগুলোকে প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুই চোরকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ