ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলা। বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। ঘন কুয়াশার প্রভাবে অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। এতে খেটে খাওয়া মানুষগুলো পড়েছে বিপাকে। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় সূর্যের লুকোচুরিতে কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। তবে জীবন-জীবিকার তাগিদে হাড়কাঁপানো শীতকে উপেক্ষা করে খুব সকালে কাজের সন্ধানে রাস্তায় বের হয়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
এদিকে গত দু’দিন ধরে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে লালমনিরহাট। এ অবস্থা থাকছে দুপুর ১২টার বেশি সময় ধরে। এ সময় সড়ক ও মহাসড়কে যান চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। এসময় যানবাহনগুলোকে কম গতিতে চলাচল করতে দেখা গেছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার ভ্যানচালক খলিলুর রহমান (৪০) বলেন, পেটের দায়ে এই কুয়াসায় ভ্যান নিয়ে বেরিয়েছি। কিন্তু ঠান্ডায় যাত্রী পাওয়া মুশকিল।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট উপজেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, মঙ্গলবার সকালে লালমনিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকায় ঘন কুয়াশা পড়ছে।
লালমনিরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় জানান, হাঁপানি, অ্যাজমা, নিউমোনিয়া ও ডাইরিয়ায় আক্রন্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ উপজেলায় ১০৩ জন ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন ৭৭ জন। শীতের তীব্রতা বাড়ায় শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রন্ত হচ্ছে।
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, জেলায় শীতার্ত ও অসহায় প্রায় ২২ হাজার মানুষের মাঝে গরম কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। পাঁচ উপজেলার নির্বাহী অফিসারদের মাধ্যেমে কম্বল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/সিএফ