নোয়াখালী জেলা শহরের থানার বেষ্টনীর মধ্যে ২৩ বছর বয়সী এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় ট্রাফিক কনেস্টেবলসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জেলা ট্রাফিক পুলিশের এক কনস্টেবল (মুন্সি)সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সুধারাম থানা পুলিশ।
আজ শুক্রবার দুপুরে অভিযুক্ত ৪ জনকে আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় ধর্ষণের অভিযোগে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সুধারাম থানার বেষ্টনির মধ্যে জেলা ট্রাফিক পুলিশের কোয়ার্টারে এক বাবুর্চির রুমে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর রাতেই অভিযুক্ত ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। ভিকটিম নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার আটিয়া বাড়ি গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মিজানুর রহমান পাঠান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিকটিম ঢাকা থেকে ব্যক্তিগত কাজে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে আসেন। জেলা শহরে অবস্থানকালে তার টাকা পয়সার সংকট দেখা দিলে ভিকটিম তার পূর্ব পরিচিত সিএনজি চালকের সাথে দেখা করেন।
এক পর্যায়ে কয়েকজন মিলে ভিকটিমকে সদর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবলের কাছে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের সহযোগিতায় বাবুর্চির রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ঘটনার পরপরই ভিকটিম পাশের সুধারাম থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন।
সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. সাহেদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার ৪ আসামিকেই গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ