ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের (আইএমএল) সামনে তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের হামলায় সাদমান সাকিব নামের এক যুবক আহত হয়েছেন।
শুক্রবার বিকেল ৫টায় কেন্দ্রীয় মসজিদের পূর্ব পাশের গেটে তৃতীয় লিঙ্গের দুই গ্রুপের মধ্যে টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। এতে তারা মারামারিতে লিপ্ত হলে তাদের থামাতে যান ওই যুবক। এতে তাদের রোষানলে পড়েন তিনি।
আহত যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান বিভাগের কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউনুস আলীর ছেলে। তৃতীয় লিঙ্গের একটি গ্রুপ তাকে ব্যাপক মারধর করে। তাকে মারতে মারতে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় রোকেয়া হলের বিপরীতে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির গেট থেকে ঢাবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করে। তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিরা তাকে মাথায় ও নাকে আঘাত করে। আহত সাদমানকে প্রক্টরিয়াল টিমের সহযোগিতায় পুলিশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
আহত সাদমান সাকিব বলেন, ‘আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে হোসনি দালান এলাকায় থাকি। কয়েকজন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে আগে থেকে চিনি। কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তাদের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ঝগড়া লাগলে আমি তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করি। উল্টো তারা আমাকে আঘাত করতে থাকে। এসময় তৃতীয় লিঙ্গের হাবিবা, আনিকা, মুন্নি, মুক্তাসহ কয়েকজন আমাকে মারধর করে। ঘটনাস্থল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাকে উদ্ধার করে।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ক্যাম্পাসে এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড আমি সমর্থন করি না। যারা এ কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হয়েছে। এছাড়া তারা যেন ক্যাম্পাস এলাকায় আর না আসতে পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এই ঘটনায় অভিযুক্তদের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ