বাংলা৭১নিউজ, শেরপুর প্রতিনিধি ঃ
শেরপুরে মোটা অংকের যৌতুকের দাবি মেটাতে না পারায় পাষন্ড স্বামী পুলিশের এসআই শাহিনুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্যাতনে আহত মেধাবী কলেজছাত্রী আশরাফুন্নাহার লোপা (১৯) জেলা সদর হাসপাতালে টানা ৫দিন চিকিৎসা নেওয়ার পরও তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে। ৮জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, রবিবার দুপুরে ওই হাসপাতালে ভর্তির পরও তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না। ডান চোখ, কোমরের দু’পাশ, গলায়, পিঠে, বুকে, পায়েসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত ক্ষতের পরও দু’দিন যাবত কাশির সাথে কালো জমাটবাধা রক্ত বের হচ্ছে। শরীর একেবারেই দুর্বল হয়ে পড়েছে। ঠিকমতো কথা বলার অবস্থাটাও নেই। এজন্য স্থানীয় চিকিৎসকরা দফায় দফায় কয়েকটি এক্সরেসহ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরও কাশির সাথে রক্ত বের হওয়ার কারণ বের করতে পারছিলেন না। তবে তাদের ধারণা, ভেতরে কোন আঘাতের কারণে ক্ষত হয়ে ওই অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে মেধাবী কলেজছাত্রী স্ত্রীকে পিটিয়ে রক্তাক্তের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নিয়মিত মামলা রেকর্ডের ৪ দিন পর গ্রেফতার হয়নি সেই পাষন্ড স্বামী ডিএমপির সিটিসিসি-তে কর্মরত এসআই শাহিনুল ইসলাম (৩০) বা তার কোন সহযোগী। বরং বহাল তবিয়তেই রয়েছেন এসআই শাহিন। তবে স্থানীয় সূত্রের তথ্যমতে, মামলার পর থেকেই তিনি রাজধানী ঢাকার দক্ষিণ বনশ্রী এলাকার ভাড়াটে বাসায় তালা ঝুলিয়ে কৌশলে চলছেন। এতে মামলার সঠিক তদন্ত নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন নির্যাতিতা কলেজছাত্রীর পরিবার, এলাকাবাসীসহ স্থানীয় নারী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
উল্লেখ্য, শেরপুর শহরের দমদমা মহল্লার ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলামের একমাত্র কন্যা ও সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী লোপাকে পার্শ্ববর্তী শ্রীবরদী উপজেলার গড়জরিপা ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামের বাড়িতে গত ২২ মে রাতে ২০ লাখ টাকার যৌতুকের দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে অমানসিক নির্যাতন চালায় স্বামী এসআই শাহিন ও তার পরিবারের লোকজন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস