ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে স্বামীর বাড়ি থেকে আরিফা খাতুন সোমা নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে স্বজনদের দাবি, ওই গৃহবধূকে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে সড়কে গৃহবধূর মরদেহ রেখে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে কালীগঞ্জ পৌরসভার সড়কে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন তারা। পরে পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ডে ব্যানার ফ্যাস্টুন নিয়ে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। এ সময় গৃহবধূর স্বজনরাও ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমা কালীগঞ্জ পৌরসভার ফয়লা গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে। সদর উপজেলার দক্ষিণ কাষ্টসাগরা গ্রামে আকিদুল ইসলামের ছেলে ফরিদুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের চাঁদ নামে ৯ বছরের একটি ছেলেসন্তানও আছে। শনিবার সকালে স্বামীর বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় সোমার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরিবারের অভিযোগ, সোমাকে হত্যার পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক।
মৃত গৃহবধূর বাবা নুর ইসলাম বলেন, আমার জামাই বিদেশ ছিল। বিদেশ যাওয়ার আগে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। দুই বছর পর বাড়িতে আসে। সম্প্রতি আবারও বিদেশ যাওয়া জন্য আমার কাছে টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় আমার মেয়ের ওপর নির্যাতন শুরু হয়। প্রায় দিনই মেয়েকে মারধর করতো। ঘটনার দিন শুক্রবার রাতেও আমার মেয়েকে নির্যাতন করে। একপর্যায়ে মারা গেলে জামাই ও তার পরিবারের সদস্যরা গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। এরপর সে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পরিবারের কোনো সদস্যের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঝিনাইদহ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দীপঙ্কর মালাকার বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল করা হয়েছে। তবে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। সুরতহালের রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে