ওমিক্রন নিয়ে সারাবিশ্বে তৈরি হয়েছে ভীতিকর পরিস্থিতি। শনাক্ত না হলেও বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ওমিক্রন রোগী আছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ওমিক্রনের কিছু লক্ষণের কথা এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানালেও এবার অদ্ভুত এক লক্ষণের কথা জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের একজন চিকিৎসক। শুধু তাই নয় ওই লক্ষণ শুধুমাত্র রাতেই দেখা যায় বলে জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক।
ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসে কর্মরত ডা. আমির খানের দাবি, ওমিক্রনে আক্রান্ত অনেক মানুষের রাতে প্রচুর ঘাম হতে দেখা গিয়েছে যা করোনার নতুন লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করছেন তিনি। করোনার কোন ভ্যারিয়েন্টে এখন পর্যন্ত এই লক্ষণ প্রকাশ পায়নি।
টিভি প্রোগ্রামে দেওয়া সাক্ষাতকারে ওমিক্রনের নতুন উপসর্গের বিষয়ে তুলে ধরেন ওই চিকিৎসক। তিনি বলেন, তার সহকর্মীরা এই নতুন লক্ষণ ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে পর্যবেক্ষণ করেছে। পাঁচজনের একজনের এই উপসর্গ শুধু রাতেই প্রকাশ পায়। তবে এই রাতে ঘাম হওয়ার পরিমাণ এত বেশি যে,জামা-কাপড়ও পরিবর্তন করতে হয়। ডা. খানের দেওয়া তথ্য মতে, ওমিক্রনের বর্তমান কিছু লক্ষণ হলো গলা ব্যথা, পেশীতে হালকা ব্যথা, অবসাদ, শুকনো কাশি,রাতে প্রচুর ঘাম হওয়া।
রাতে তীব্র ঘাম:
করোনা রোগীদের রাতে ঘাম হওয়ার বিষয়টি এবারই প্রথম না। গেলো ডিসেম্বরে ২১২ জন করোনা রোগীর ওপর গবেষণা করা হয়, তাতে দেখা যায় ১১৪ জনের প্রচুর ঘাম হয় এবং তাদের মধ্যে ১০২ জনের রাতে প্রচুর ঘাম হয়।
গেলো মাসে ওমিক্রন প্রথম শনাক্ত হওয়ার আগেই এই গবেষণা চালানো হয়। এর আগে গেলো বছর চীনের পিপল’স হসপিটাল বাই অফ গুইঝোতে চালানো গবেষণায় বলা হয়, রাতের ঘাম করোনা নিউমোনিয়ার প্রথম লক্ষণ হতে পারে। যদিও সেময় এর বিজ্ঞানসম্মত কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবু অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতে রাতে ঘাম হওয়া করোনার অন্যতম লক্ষণ।
ওমিক্রনের উপসর্গ দেখা দিলেই টেস্ট:
করোনার এই লক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে ডা. আমির খান বলেছেন, ওমিক্রনের যেকোন লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত পিসিআর টেস্ট করাতে হবে। এতে করে নতুন করে করোনা ছড়ানোর সম্ভাবনা অনেকটা হ্রাস পাবে।
ডেল্টার সাথে তুলনা করলে করোনার বেশিরভাগ লক্ষণই মৃদু। দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসক অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজি বলেন, বেশিরভাগ ওমিক্রন রোগীর লক্ষণ খুব হালকা। সেই সাথে বেশিরভাগ আক্রান্ত মানুষ ভ্যাকসিন নেয়নি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএন