শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
বেতনভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারী কীভাবে শত কোটি টাকার মালিক অটোরিকশা উল্টে প্রাণ গেল ইমামের ২৯২ হজযাত্রীর ভিসা না হওয়ায় ৯ এজেন্সিকে শোকজ নিয়োগে দুর্নীতি : ভিকারুননিসার সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা উন্নয়ন সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের সমন্বয় বৃদ্ধির জন্য ডেটাবেইজ হচ্ছে কৃষি পণ্যে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম কমাতে বললেন প্রতিমন্ত্রী আরও ৬টি মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানের লেনদেন সহজ হলো বিকাশ-এ সংসদে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে বিশেষ আইন প্রণয়নের আহ্বান কলকাতা থেকে ফিরে যা বললেন ডিবিপ্রধান হারুন রেমা‌লে ক্ষয়ক্ষতি : শেখ হাসিনাকে জাপা‌নের প্রধানমন্ত্রীর চিঠি ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক এমপি মনজুর হোসেন আর নেই সোমালি জলদস্যুদের প্রতিরোধে কিছুই করার নেই আইএমওর নীলফামারীতে ঝড়ে বিধ্বস্ত ৩০০ ঘরবাড়ি নারায়ণগঞ্জে অপহরণ করে শিশু হত্যায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড ১০ মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড দিনাজপুর পুঁজিবাজার সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে : সালমান এফ রহমান কাশ্মীরে থানায় ঢুকে পুলিশ সদস্যদের পেটাল সেনারা ফলমূলে ফরমালিন বিক্রিয়া করে না : বিএফএসএ ১৯ লাখ সরকারি পদে খালি পৌনে ৪ লাখ শনিবার ‘ভিটামিন এ প্লাস’ ক্যাপসুল পাবে ২ কোটি ২২ লাখ শিশু

৬৬ হাজার টাকা চিবিয়ে খেল ছাগল!

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ৭ জুন, ২০১৭
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: ছাগলে টিকটিকি খেয়েছে শুনে বেজায় চটেছিল শ্রীব্যাকরণ শিং। ছাগলে কী কী না-খায়, তা নিয়ে যে নাতিদীর্ঘ বক্তৃতাটি সে দিয়েছিল, বাংলা সাহিত্যে তা চির অমর। কিন্তু ছাগলে কি টাকাকড়ি খায়? ব্যাকরণ শিং-এর দেওয়া ছাগলের খাদ্য এবং অখাদ্যের তালিকা থেকে তার আঁচ মিললেও, স্পষ্ট করে কিছু ছিল না। এত দিনে তা পরিষ্কার করে দিল সেই ব্যাকরণ শিং-এরই এক উত্তরপুরুষ, উত্তরপ্রদেশের সর্বেশকুমার পালের পোষা ছাগল। সর্বেশের সাধের পুষ্যি চিবিয়ে খেয়ে ফেলল তাঁর ৬৬ হাজার টাকার নোট!
ঘটনাটা গত সোমবারের। কনৌজ জেলার সিলুয়াপুর গ্রামে সর্বেশের বাড়ি। চাষবাস করে দিন কাটে। বাড়ি সারানোর জন্য ইট কিনতে হবে বলে ৬৬ হাজার টাকা ঘরে এনে রেখেছিলেন। ট্রাউজারের পকেটে রেখে নিশ্চিন্তে স্নানে গিয়েছিলেন তিনি। স্নান সেরে ফিরে এসে যা দেখলেন তাতে তাঁর হাত পা ছড়িয়ে কাঁদার মতো হাল। সাধের পুষ্যিটি নিবিষ্ট মনে, মনের সুখে ওই নোটের বান্ডিল খেয়ে চলেছে চিবিয়ে চিবিয়ে। রে-রে করে ওঠেন সর্বেশ। ছুটে গিয়ে ছাগলের মুখ থেকে ওই নোট টেনে বের করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে প্রায় সব নোট ছাগুলে দাঁতে কুটিকুটি হয়ে চলে গিয়েছে পেটে। টানাটানিতে দু’টো দু’হাজার টাকার নোট বাঁচাতে পেরেছেন তিনি। তবে সেগুলোর অবস্থাও শোচনীয়। ছাগলের থুথুমাখা, দুর্দশাগ্রস্ত সেই নোট দু’টোও আদৌ কাজে আসবে কি না তা নিয়ে ঘোর সন্দেহ রয়েছে সর্বেশের।
ভাবছেন এর পর কী হল? টাকার শোকে ক্রুদ্ধ হয়ে ‘অপরাধী’ ছাগলকে কী শাস্তি দিলেন সর্বেশ? একেবারেই ও সব কিছু নয়। বরং বিলকুল মাফ করে দিয়েছেন প্রিয় ছাগলকে। মজা করেই বললেন, “সব ধরনের কাগজ খাওয়ায় সুনাম আছে ওর। সুযোগ পেয়েই তাই নিজের প্রিয় খাবার চিবোতে লেগেছিল। তবে কী আর করা যাবে, ছাগলটা তো আমার সন্তানেরই মতো!”
তবে সর্বেশের ছাগলের এই ছাগলামিতে গোটা গ্রাম ভেঙে পড়েছে তাঁর বাড়িতে। অনেকে তো আবার ছাগলের সঙ্গে সেলফি-ও তুলতে শুরু করেছেন। অনেকে ছাগলটিকে পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। যদি ওষুধ খাইয়ে নোটগুলো বের করিয়ে নেওয়া যায়! কেউ কেউ মজা করে বলছেন, “ছাগলটাকে পুলিশের কাছে নিয়ে যাওয়া হোক। যতই হোক এটা তো একটা গুরুতর অপরাধ!” পাড়া-প্রতিবেশীদের এ সব ঠাট্টা-মস্করা হেসেই উপভোগ করছেন পাল দম্পতি। সর্বেশ আর তাঁর স্ত্রী দু’জনেরই এক সুর, “পোষা ছাগলের উপর তো আর নিষ্ঠুর হতে পারি না। সে তো আমাদের পরিবারেরই একজন। আমাদেরই বরং সতর্ক হওয়া উচিত্ ছিল।”
আর যাকে নিয়ে এত কাণ্ড, সে কি মনে মনে ব্যাকরণ শিং-এর মতো কোনও বক্তৃতা আওড়াচ্ছে? সে কথা জানতে আর একজন সুকুমার রায়ের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
সুত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com