মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪, ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চট্টগ্রামে ২৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি, বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত রপ্তানি বাড়াতে অঞ্চলভিত্তিক আম প্যাকেজিং হাউজ তৈরিসহ ৮ দাবি ফের যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হচ্ছে টাইগাররা ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে হাতিয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত পিপিপি পদ্ধতিতে দুই বস্ত্রকল চালুসহ ৫ প্রস্তাব অনুমোদন বাচ্চু পরিবার ও লা মেরিডিয়ানের মালিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন সঞ্জীভা গার্ডেনে ভিডিওকলে শিমুল-‘কসাই’ জিহাদ, দেখাল হত্যার স্থান ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে তিতাস-মেঘনা নদীর পানি বাড়ছে মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে ছিনতাই: দুই পুলিশ সদস্যের দণ্ড ঘূর্ণিঝড়ে দুই বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার ক্ষতি ৮৩ কোটি টাকা কঙ্গোতে শান্তিরক্ষা মিশনে যাচ্ছেন পুলিশের ১৮০ সদস্য ঘূর্ণিঝড় রেমাল বিদ্যুৎহীন উপকূলের ১ কোটি ৫৫ লাখ পরিবার ‘সভ্য সমাজে এত নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড হতে পারে না’ ঘূর্ণিঝড় রিমাল ১০ জনের মৃত্যু, দেড় লাখ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ডিম মজুতের খবর পাওয়া যাচ্ছে, তদারকি করা হবে: কৃষিমন্ত্রী টানা বৃষ্টিতে পানি নিচে নিউমার্কেট এলাকা পানির নিচে ঢাকা পান্থপথে ভেঙে পড়েছে গাছ দিনাজপুরে শ্যালিকা হত্যায় দুলাভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড খুলনায় উপড়ে পড়েছে শত শত গাছ, ভেঙেছে সাইনবোর্ড-বিলবোর্ড

বৃক্ষ জানে না মাটির কষ্ট

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ৪ জুন, ২০১৭
  • ১৪০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: ছোট্ট একটা দুর্বল চারা। কোত্থেকে যেন উড়ে এসে পড়ল বাগানটায়। ভেজা মাটির খুব মায়া হল ওর জন্য।
মাটি বললো, ‘আহারে বেচারা, বাতাস তোমার এ কী হাল করেছে!’
আকুপাকু করে বেচারা বলল, ‘আমাকে খানিকটা জায়গা দে না রে মাটি।’
মাটি ভাবল, এইটুকুন একটা গাছ। কতখানি জায়গাই বা লাগবে ওর! এই ভেবে চারাটাকে আঁকড়ে ধরল মাটি। দো-আঁশ মাটির আশ্রয় পেয়ে বেঁচে গেল কঁচি গাছটা।

গ্রীষ্ম যায়, বর্ষা আসে। শরৎ গিয়ে আসে হেমন্ত। এভাবে কত ঋতু যায় আসে। যায় কত মাস-বছর। কে তার হিসেব রাখে? চারাগাছ এখন সতেজ সাবালক। মৃত্তিকার অকৃত্রিম ভালোবাসা পেয়ে কেমন লকলক করে বেড়ে উঠছে! এভাবেই বাড়তে বাড়তে একদিন এক শক্ত সামর্থ্য পুরুষ হয়ে উঠল সেদিনের সেই দুর্বল চারাগাছটা। তার এখন কত শাখা-প্রশাখা। বড় বড় ঘন সবুজ পাতায় ছেয়ে আছে সেইসব ডালপালা।

এখন আর বাতাস তাকে উড়িয়ে নেওয়ার সাহস পায় না। বরং ও-ই এখন দুরন্ত বাতাসকে নিয়ে মজা করে-
‘কী হে দস্যি বাতাস, লাগবি আমার সঙ্গে? দেখি তোমার কত শক্তি!’
সঙ্গে সঙ্গে নুইয়ে পড়ে বাতাস বলে, ‘না ভাই, যেতে দাও আমাকে। তোমার মত শক্তিমানের সঙ্গে লাগা কি আমার কাজ!’
আজকাল সূর্যালোকও বুঝি ওকে সমীহ করে চলে। কঁচি পাতাগুলোর ওপর রশ্মি ফেলেই চলে যায়। বেশি গভীরে প্রবেশের সাহস করে না। এদিকে বাগানের সমস্ত মাটিই সে গ্রাস করে নিয়েছে। ছোটখাট যেসব ফুল-ফলান্তির গাছ ছিল; সেগুলো ওর দস্যিপনা সইতে না পেরে মরে বেঁচেছে। তারপরও ওর আগ্রাসন বন্ধ হয় না। ক্রমাগত বেড়েই চলে।

সে যত বিস্তারিত হয়; ততই মাটির গভীর থেকে গভীরে প্রোথিত হতে থাকে তার শেঁকড়-বাকড়। তাই বুঝি, দিনে দিনে মাটির কষ্ট কেবল বেড়েই চলে। সে বলে, ‘থাম না বাপু। আর কত বাড়বি তুই? আমার যে বড় কষ্ট হয় রে।’ মাটির কথা শুনে বড্ড রাগ হয় বৃক্ষের। ভাবে, এই মাটি যত নষ্টের গোড়া। ওর জন্যই আমার আকাশে পৌঁছানো হচ্ছে না।

আরো কিছুদিন যায়। আরো বেশ খানিক বাড়ে গাছটা। এখন সে একটা মহীরুহের আকার নিয়েছে। ওর গা থেকে নেমে আসা ঝুড়িগুলোও প্রবেশ করেছে মাটির অভ্যন্তরে। তাই বিরক্ত হয়ে মাটি বলে, ‘আর কত উঠতে চাস তুই? আমি যে তোর ভার আর বইতে পারছি না। এবার আমাকে রেহাই দে।’
মাটির কথা শুনে রেগে যায় বৃক্ষ। ‘আকাশ ছুঁতে চাই আমি। কিন্তু তুমি আমায় আঁকড়ে ধরে আছো বলেই অতখানি উঁচুতে উঠতে পারছি না। তুমি কি জানো, নীল আকাশটা কোথায়? ওর দিকে চোখ তুলে তাকানোর ক্ষমতাও তো নেই তোমার।’
‘তাই! তাহলে এবার তোকে দিলাম ছেড়ে। যেখানে খুশি সেখানে যা।’ এই বলে মাটি তার বাঁধন দিলো আলগা করে।

ধীরে ধীরে শুকিয়ে যেতে লাগলো বৃক্ষের পাতারা। দু’একটা শুকনো পাতা উড়ে যেতে লাগলো এদিক-সেদিক। কিন্তু বোকা বৃক্ষ তা টেরই পেল না। কিন্তু অনেকদিন ধরে এই অপেক্ষাতেই ছিল বাতাস। সেইদিন সে ঝড় হয়ে উড়ে এলো এবং সমূলে উপড়ে ফেললো অহংকারী গাছটাকে। অনেকদিন পর আরামে শ্বাস নিল মাটি।

বাংলা৭১নিউজ/সিএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com