চুয়াডাঙ্গায় বাবার ওপর অভিমান করে চলন্ত মাইক্রোবাস থেকে লাফ দিয়ে বোরহান উদ্দীন নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (২৮ নভেম্বর) রাত একটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
বোরহান উদ্দীন (২১) মেহেরপুর সদর উপজেলার দরবেশপুর গ্রামর মিয়াজান আলীর ছেলে।
বোরহান উদ্দিনের বাবা মিয়াজান আলী জানান, তার ছেলে পরিবারের সদস্যদের অনুমতি ছাড়াই চুয়াডাঙ্গা জেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে পপি খাতুনকে (১৯) রোববার গোপনে বিয়ে করে। বিয়ের পর তারা চাচাতো বোনের বাসা মেহেরপুর জেলার সিংহাটি গ্রামে গিয়ে ওঠে।
লোক মারফত খবর পেয়ে মিয়াজান আলী রোববার রাত ১০টার দিকে সিংহাটি গ্রামে বোরহান উদ্দীনকে আনতে যান। এক পর্যায়ে রাতেই একটি মাইক্রোবাসযোগে ছেলে ও পুত্রবধূকে নিয়ে নিজ গ্রাম দরবেশপুরের উদ্দেশে রওনা হন তারা।
বাড়ি ফেরার সময় পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে একা বিয়ে করায় ছেলে বোরহানউদ্দীনকে বকাঝকা করেন তিনি। এ সময় বাবার ওপর অভিমান করে বোরহানউদ্দীন কুলপালা নামক স্থানে চলন্ত মাইক্রোবাসের জানালা দিয়ে লাফিয়ে রাস্তার উপর পড়ে যান। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যান তিনি। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নেওয়ার কিছুক্ষণ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাজিদ হাসান জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে আনার কিছুক্ষণ পরই বোরহানের মৃত্যু হয়। বোরহানের মৃতদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহাসীন বলেন, ঘটনাটি আমি কিছুক্ষণ আগে শুনেছি। এ ব্যাপারে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলা৭১নিউজ/জিকে