চুয়াডাঙ্গায় বিয়েবাড়িতে মাংস বেশি খাওয়াকে কেন্দ্র করে বরপক্ষ ও কনেপক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় বরপক্ষের তিনজনকে পিটিয়ে আহত করেছে কনেপক্ষের লোকজন।
রোববার (২৪ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বদরগঞ্জ দশমিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যায় আহতদের সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আহতরা হলেন-সদর উপজেলার সরোজগঞ্জের বোয়ালিয়া গ্রামের আলমগীর আলী ছেলে শাহা জামাল (২৮), একই এলাকার মৃত গোলাম রাব্বানীর ছেলে ফারুক হোসেন (৩৫) ও আব্দুর রহিমের ছেলে আসমান আলী (৩৫)।
আহতদের মধ্যে শাহা জামালকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি রাখা হলেও বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আহত শাহা জামালের শয্যাপাশে থাকা তার পরিবারের সদস্যরা জানান, রোববার সদর উপজেলার বদরগঞ্জ দশমিপাড়ার রহিম আলীর ছেলে সবুজের সঙ্গে একই এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে সুমি খাতুনের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বরপক্ষের লোকজনকে খেতে দেওয়া হয়। বর সবুজের সঙ্গে খেতে বসেন তার বন্ধুসহ আত্মীয়-স্বজনরা। খাওয়া শেষ হওয়ার মুহূর্তে বরপক্ষের লোকজন আরও মাংস চান।
কনেপক্ষের লোকজন দিতে না চাইলে উভয় পক্ষের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হলে কনেপক্ষের লোকজন বরপক্ষের শাহা জামাল, ফারুক হোসেন ও আব্দুর রহিমকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেন। আহতদের মধ্যে শাহা জামালের অবস্থা কিছুটা খারাপ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরেন।
এ ঘটনায় কনেপক্ষের লোকজনের অভিযোগ, বরপক্ষের লোকজন ভাত না খেয়ে শুধু মাংস খেতে থাকেন। বারবার মাংস চাওয়াতে তারা পরে দেবেন বলে জানালে বরপক্ষের লোকজন তাদের ওপর চড়াও হন। তারা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই।
বাংলা৭১নিউজ/জিকে