মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ডিজিটাল মাধ্যমে বিদেশে অর্থপাচার রোধে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই বৃক্ষ সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ বিষয়ক গবেষণা বৃদ্ধি করা হবে বিকাশ অ্যাপে খোলা যাচ্ছে সেভিংস এলজিইডি’র সেই প্রকৌশলীর স্ত্রীরও ৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ! ব্যাটারিচালিত রিকশা কোথায় কীভাবে চলবে নির্দেশনার পর ব্যবস্থা ডিএমপি ভারত থেকে রেলের ২০০ বগি কিনছে বাংলাদেশ, চুক্তি সই মেয়রের সামনে কাউন্সিলর রতনকে জুতাপেটা করলেন কাউন্সিলর চামেলী বাজেট অধিবেশন শুরু ৫ জুন দেশের অর্থনীতি শূন্যে, ক্র্যাশল্যান্ডিং হতে পারে বাজার ম‌নিট‌রিং জোরা‌লো করতে প্রধানমন্ত্রীর নি‌র্দেশ রাইসির মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক মেয়েকে ঘুমে রেখে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁসিতে ঝুললেন মা প্রধানমন্ত্রী ব্যাটারিচালিত রিকশার স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করতে বলেছেন বঙ্গবন্ধু শান্তি পুরস্কার দেবে বাংলাদেশ, নীতিমালা অনুমোদন ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে শেখ হাসিনার শোক ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতে বিশ্বনেতাদের শোক কুমিল্লায় ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত প্রেসিডেন্ট রাইসি নিহত, ইরানে পাঁচদিনের শোক ঘোষণা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

ফলাফলে ছেলেকে টপকে গেলেন মা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ৪ মে, ২০১৭
  • ১২০ বার পড়া হয়েছে
মা মলি রাণীকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছে ছেলে মৃন্ময় কুমার কুণ্ডু

বাংলা৭১নিউজ, নাটোর: মা মলি রাণী (৩৭) ও ছেলে মৃন্ময় কুমার (১৬) একসঙ্গে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন। ফলাফল ঘোষণার পর দেখা গেল, ছেলেকে টপকে গেছেন মা। মা পেয়েছেন জিপিএ–৪.৫৩, আর ছেলে পেয়েছে জিপিএ–৪.৪৩। মা-ছেলে পরস্পরকে মিষ্টি খাইয়ে ভালো ফলের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার গালিমপুর গ্রামের মিষ্টি ব্যবসায়ী দেবব্রত কুমারের স্ত্রী মলি ও ছেলে মৃন্ময় একসঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন।

মা বললেন, এই বয়সে ছেলের সঙ্গে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ভেবে খুব লজ্জা লাগছিল। তবে লেখাপড়া শেখার প্রবল আগ্রহ তাঁকে পরীক্ষায় অংশ নিতে উৎসাহ জোগায়। জানতে পেরে ছেলে ও স্বামী তাঁকে পরীক্ষায় অংশ নিতে বলে। এরপর তিনি প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। তাঁরা মা-ছেলে পাল্লা দিয়ে পড়াশোনা করতেন। পাস করে খুশি হলেও জিপিএ-৫ পেলে আরও খুশি হতেন বলে জানালেন। সামনে আরও পড়াশোনা করে অন্তত স্নাতক পাস করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন।

ছেলে মৃন্ময় বলল, ফল মায়ের চেয়ে একটু খারাপ হয়েছে। তবে দুঃখ নেই। মায়ের ভালো ফলে সে খুশি। সামনের পরীক্ষায় মাকে টপকে যাওয়ার আশা প্রকাশ করল সে।

দেবব্রত কুমার বলেন, স্ত্রী ও ছেলে একসঙ্গে পাস করার খবরে তিনি আনন্দিত। খুশি ভাগাভাগি করতে তিনি তাঁর দোকানে আসা সবাইকে মিষ্টিমুখ করিয়েছেন। স্ত্রী-সন্তান যত দিন চাইবে, পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে বল তিনি আশ্বাস দেন।

মা নওগাঁর মান্দা উপজেলার প্রসাদপুরের অসিত কণ্ডুর মেয়ে। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় বিয়ে হয়ে যায়। পরে আর পড়ার সুযোগ হয়নি তাঁর। কোলে আসে দুটি সন্তান। ওরা পড়ালেখা শুরু করে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে ওদের পড়ান তিনি। বড় ছেলে মৃন্ময় যখন বাগাতিপাড়া মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে কারিগরি শাখায় বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স ট্রেডে নবম শ্রেণিতে ওঠে, মলির তখন নতুন করে পড়ার ইচ্ছা জাগে। তিনি বাগাতিপাড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে কারিগরি শাখায় ড্রেস মেকিং অ্যান্ড টেইলারিং ট্রেডে ভর্তি হন। এবার ভালো ফল করে চমকে দিলেন সবাইকে।

বাংলা৭১নিউজ/সিএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com