বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
গাজার গণহত্যাকে স্বীকার করে না, তাদের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মাথা ব্যথা নেই কঠোর তদারকির অভাবে সুন্দরবন পুড়ে ছাই হচ্ছে : বাপা আমেরিকার আশায় আন্দোলন করলে হবে না: নুর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ১৪ দলের সভা ডেকেছেন শেখ হাসিনা সব সূচকে পিছিয়ে ঢাকা, বাসযোগ্যতায় দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতার কাছে ধরাশায়ী আ’লীগের ৫ নেতা কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক ঝালকাঠিতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অগ্নিসংযোগ-গুলিবর্ষণ, আহত ৪ সিলেট থেকে ছেড়ে গেল বিমানের হজ ফ্লাইট চট্টগ্রামে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে রাষ্ট্রপতির আহ্বান আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞার আভাস যুক্তরাষ্ট্রের এফডিসিতে নিপুণের শাস্তির দাবিতে শিল্পীদের মিছিল বোরো ধানের ফলনে সন্তোষ, দামে হতাশ কৃষক তেহরানে ইব্রাহিম রাইসির জানাজা পড়ালেন আয়াতুল্লাহ খামেনি তরুণরা ব্যবসায় এগিয়ে এলে বিনিয়োগ নিয়ে পাশে থাকবে প্রাণ অবশেষে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে যে তিন দেশ হিমালয়সহ পাহাড়-পর্বত রক্ষায় বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে লাল গোলাপের সাজে মোহনীয় লুকে ভাবনা এমপি আনোয়ারুল হত্যাকাণ্ড দুই দেশের কোনো বিষয় নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভয়াল সেই ২৯ এপ্রিল আজ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৭
  • ১০৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: ভয়াল ২৯ এপ্রিল আজ। ১৯৯১ সালের এইদিনে প্রলয়ংকরি ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব চট্টগ্রাম বিভাগের উপকুলীয় অঞ্চলের প্রায় এক লাখ ৩৮ হাজার মানুষ নিহত এবং এক কোটি মানুষ তাদের সর্বস্ব হারায়।

৯১-এর এই ভয়াল ঘটনা এখনও দুঃস্বপ্নের মতো তাড়িয়ে বেড়ায় উপকুলবাসীকে। ঘটনার এত বছর পরও স্মৃতি থেকে মুছে ফেলতে পারছেন না সেই দুঃসহ সময়গুলো। গভীর রাতে ঘুম ভেঙে যায় জলোচ্ছ্বাস আর ঘূর্ণিঝড়ের কথা মনে হলে।

সেদিন ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে। এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ৬ মিটার (২০ ফুট ) উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হয় এবং এতে বেসরকারি হিসেবে ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। এদের বেশিরভাগই নিহত হয় চট্টগ্রাম জেলার উপকূল ও দ্বীপসমূহে। সন্দ্বীপ, মহেশখালী, হাতীয়া দ্বীপে নিহতের সংখ্যা সর্বাধিক। এরমধ্যে শুধু সন্দ্বীপে মারা যায় প্রায় ২৩ হাজার লোক।

সেদিন উপকূলে যেন কেয়ামত নেমে এসেছিল।কর্ণফুলি নদীর তীরে কংক্রিটের বাঁধ থাকলেও সেদিন এই বাঁধও জলোচ্ছ্বাসে ধ্বংস হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের ১০০ টন ওজনের একটি ক্রেন ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে স্থানচ্যুত হয় এবং আঘাতের কারণে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। বন্দরে নোঙর করা বিভিন্ন ছোট বড় জাহাজ, লঞ্চ ও অন্যান্য জলযান নিখোঁজ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার মধ্যে নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর অনেক যানও ছিল। এছাড়াও প্রায় ১০ লাখ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ২৯ এপ্রিল রাতে এটি চট্টগ্রামের উপকূলবর্তী অঞ্চলে ২৫০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হেনে সব লন্ডভন্ড করে দেয়। স্থলভাগে আক্রমণের পর এর গতিবেগ ধীরে ধীরে হ্রাস পায় এবং ৩০ এপ্রিল এটি বিলুপ্ত হয়।

প্রতি বছরের মত বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন আজ স্মরণ করবে এই দিনটিকে। কোস্টাল জার্ণালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ এবং ২৯ এপ্রিল স্মৃতি ফাউন্ডেশন এ উপলক্ষে আজ বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে সংবাদ সন্মেলন এবং নিহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে। সন্দ্বীপ সাংবাদিক কমিউনিটি ঢাকা ও দিবসটি পালনে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

বাংলা৭১নিউজ/এমবিএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com