বায়ু ও সমুদ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত, অর্থনৈতিক ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা অপরিহার্য বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোমবার (৩০ আগস্ট) ভার্চুয়ালি ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিক্সনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ কথা জানান। মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী হাইকমিশনারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশে পরিবেশের সঙ্গে সমন্বয় করেই সব উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার ও বিকাশে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ। রুফটপ সোলার ও নেট মিটারিং সিস্টেম দিনে দিনে জনপ্রিয় বিজনেস মডেলে পরিণত হচ্ছে। সোলার হোম সিস্টেমে প্রণোদনা দেওয়ার জন্য ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে প্রায় দুই কোটি অফ গ্রিড এলাকায় অধিবাসীদের বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রাথমিক মূল্য ও স্টোরেজ সিস্টেম একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ। সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করতে অনেক জমির প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশে উইন্ড ম্যাপিং করা হয়েছে। উইন্ড পাওয়ার নিয়ে ও ওশান পাওয়ার নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত, অর্থনৈতিক ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা অপরিহার্য।’
নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বাংলাদেশের জ্বালানির রূপান্তর ও এর সম্ভাবনা, বাংলাদেশের পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান পর্যালোচনা, এনার্জি ট্রানজিশন কাউন্সিলের সঙ্গে বাংলাদেশের পরিকল্পনা, জলবায়ু ও পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে আলোচনা হয়।
এসময় হাইকমিশনের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সংক্রান্ত টিম লিডার জন অয়ারবারটন ও পরিচালক (উন্নয়ন) জডিদ হারবার্টসন সংযুক্ত থেকে বক্তব্য দেন।
বাংলা৭১নিউজ/এবি