রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। প্লাবিত হতে শুরু করেছে বাঁধের বাইরে ও নিম্ন চরাঞ্চলের হাজারো মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, পাংশার সেনগ্রাম পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি তিন সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া, সদরের মহন্দ্রেপুরে এক সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে পাঁচ সেন্টিমিটার এবং গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্টে সাত সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার পাংশার বাহাদুরপুর, কালুখালীর রতনদিয়ার হরিণবাড়িয়া, সদরের খানগঞ্জ, মিজানপুর, বরাট, গোয়ালন্দের দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়ার নিম্নাঞ্চলে যারা বাস করছেন তারা পড়েছেন দুর্ভোগে। পানি উঠে যাওয়ায় এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে গবাদি পশুর খাবারের সংকট।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, ‘নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে প্রতি বছরই রাজবাড়ীর নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করে। এ বছরও সেটি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পানি বন্দী মানুষের সঠিক সংখ্যা নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। তবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আশ্রয়ণ কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
পানি বৃদ্ধি আর তীব্র স্রোতে ভাঙন আতঙ্ক বাড়ছে পদ্মা পাড়ের বাসিন্দাদের। তবে ভাঙন রোধে নদীতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
অন্যদেকে, পদ্মার তীব্র স্রোতে ব্যাহত হচ্ছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল। সরেজমিনে দেখা যায়, ফেরিঘাটের দৌলতদিয়া প্রান্তে কয়েক কিলোমিটার সড়কে যানবাহনের লম্বা সারি তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে পন্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলিয়ে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে।
বাংলা৭১নিউজ/বিএফ