টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের সুরমা, যাদুকাটা, চেলা, চলতি নদীসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শনিবার (১৪ আগস্ট) সকাল থেকে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ঘোলঘর পয়েন্ট দিয়ে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্ত এলাকাসহ নিম্নাঞ্চলের অন্তত ৫০টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বাড়িঘর ও রাস্তাঘাটে পানি প্রবেশ করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব এলাকার হাজার হাজার মানুষ।
এদিকে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের সাহেব বাড়ি ঘাট, উত্তর আরপিন নগর, বড়পাড়া, পুরানপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকার রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বাসিন্দা সাকিব আহমেদ বলেন, সকালে ঘর থেকে বের হয়েই রাস্তায় হাঁটু পানি দেখি। এখন বাজারে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলার বাসিন্দা মহিম আহমেদ বলেন, রাত থেকে ঘরের চারদিকে পানি আর পানি। এতে করে ভোগান্তির মধ্যে পড়েছি। ছেলে-মেয়েকে নিয়ে কী করব বুঝতে পারছি না।
তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বলেন, সুনামগঞ্জে মাকে নিয়ে ডাক্তার দেখানোর কথা। কিন্তু সুনামগঞ্জের সঙ্গে তাহিরপুরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। সে জন্য যেতে পারছি না।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুদোহা বলেন, সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জিকে