রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে রংপুরের কাউনিয়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে সুলতান আলী নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৫০২ জন। এ নিয়ে বিভাগে করোনা শনাক্ত রোগী ৪৬ হাজার ৯৮৮ জনে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মোতাহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিভাগে পাঁচ দিনে করোনা আক্রান্ত ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গড়ে প্রতি দিন ১৫ থেকে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। তিনি জানান, বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রংপুরে আটজন, ঠাকুরগাঁওয়ে চারজন, দিনাজপুরে তিনজন, পঞ্চগড়ে দুইজন, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধার একজন করে রয়েছেন।
এ সময়ে বিভাগে ১ হাজার ৬৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে রংপুরের ১৩৯ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৭৪ জন, দিনাজপুরের ৭২ জন, কুড়িগ্রামে ৬৫ জন, পঞ্চগড়ে ৪৭ জন, নীলফামারী ৪৪ জন, গাইবান্ধা ৪০ জন ও লালমনিরহাটে ২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় আক্রান্তের হার ৩০ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকে তথ্য অনুযায়ী,নতুন করে মারা যাওয়া ১৮ জনসহ বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৯৬ জনে। এর মধ্যে দিনাজপুরে ২৮২ জন, রংপুরে ২২৩ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৯৩, নীলফামারীতে ৭১, পঞ্চগড়ে ৬৩, লালমনিরহাটে ৫৭, কুড়িগ্রামে ৫৬ ও গাইবান্ধায় ৫১ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৩৪ জন।
রংপুর বিভাগের আট জেলায় এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৯৮৮ জন শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দিনাজপুরে ১৩ হাজার ৫২ জন, রংপুরে ১০ হাজার ৫১০ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ হাজার ৩৭৬ জন, গাইবান্ধায় ৪ হাজার ৩৫ জন, নীলফামারী ৩ হাজার ৮৪৭ জন, কুড়িগ্রামে ৩ হাজার ৮৪৮ জন, লালমনিরহাটে ২ হাজার ৩৪৮ জন এবং পঞ্চগড়ে ২ হাজার ৯৭২ জন রয়েছেন।
করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ২ লাখ ২৩ হাজার ৯৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এছাড়া সীমান্ত ঘেঁষা জেলাগুলোয় বেড়েছে করোনায় শনাক্ত ও মৃত্যু।
করোনা পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হওয়ায় রংপুর বিভাগের হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তির চাপ বেড়েছে। সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য মিলছে না আইসিইউ শয্যা। হাসপাতালগুলো অক্সিজেন চাহিদাও বেড়েছে। প্রতি দিন করোনার উপসর্গ নিয়ে অন্তত ১০ থেকে ১৫ জনের মৃত্যু হচ্ছে। উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের হিসাবে ধরছে না স্বাস্থ্য বিভাগ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ