শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
নুরানী বোর্ডের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৮৫.২৫ শতাংশ সচিবালয়ে প্রবেশ পাসের বিশেষ সেল গঠন মাশরাফির জন্য অপেক্ষা করবে সিলেট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট হতেই হবে : এম সাখাওয়াত ট্রাইব্যুনালে প্রধান অভিযুক্তদের বিচার এক বছরের মধ্যে শেষ হবে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের সমালোচনা করলেন মির্জা ফখরুল সিলেটে কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ বিলিয়ন ডলার: গভর্নর আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১৯ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত সংস্কারের বিষয়ে সরকার একা সিদ্ধান্ত নেবে না: উপদেষ্টা মাহফুজ সচিবালয়ে আগুন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ: রিজভী রোববার থেকে দক্ষিণ সিটিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজ শুরু মহাখালীতে আবাসিক ভবনে আগুন প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে অভিনেত্রী স্বাগতাকে লিগ্যাল নোটিশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নিহত ৬, সেই বাসচালক গ্রেফতার বিএসএফের বাধার মুখে পড়া মুহুরী নদীর সেই সেচ পাম্প চালু বিএনপি-জামায়াতকে কঠিন হুঁশিয়ারি মামুনুল হকের নিজে নন, শাহিন আফ্রিদির চোখে বাংলাদেশিরাই বড় তারকা লামায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা, বেনজীরের কেয়ারটেকারসহ গ্রেপ্তার ৪

নবগঙ্গায় সেতু নির্মাণে ধীরগতি, দুর্ভোগে তিন লক্ষাধিক মানুষ

খুলনা প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১
  • ৪১ বার পড়া হয়েছে

কালিয়া উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের সরাসরি যোগাযোগের কোনো ব্যবস্থা নেই। কালিয়া উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নবগঙ্গা নদী জেলা সদর থেকে এ উপজেলাকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। ফলে জেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় উপজেলার তিন লক্ষাধিক মানুষের।

এই দুর্ভোগ কমাতে নবগঙ্গায় সেতু নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় দুর্ভোগ কাটেনি স্থানীয়দের। দ্বিতীয় দফায় সেতু নির্মাণকাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এই মেয়াদ শেষে নির্মাণকাজের অগ্রগতি মাত্র ৬০ শতাংশ। এখন তৃতীয় দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

নির্মাণের টেন্ডার আহ্বান করা হয়। ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ মেসার্স এমডি জামিল ইকবাল অ্যান্ড মো. মঈনুদ্দীন বাঁশি জেভি ফার্ম এ সেতুর কার্যাদেশ পান। ৬৫১.৮৩ মিটার লম্বা এবং ১০.২৫ মিটার প্রস্থ এ সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৬৫ কোটি ৩ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। ২০২০ সালের জুন মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তখন কাজের অগ্রগতি ছিল মাত্র ২৩ শতাংশ। পরে আরো সময় বাড়ানো হয়। করোনার কারণে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি পেয়ে ২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় পান ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তথ্য অনুযায়ী এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৬০ শতাংশ। তাই ফের ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সময় বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছে নড়াইল সড়ক বিভাগ।

জানা গেছে, কালিয়া উপজেলার বারইপাড়া ঘাটে একটি সেতু না থাকায় উপজেলাটি দুই ভাগে ভাগ হয়ে রয়েছে। নদীর একপাশে রয়েছে আটটি ইউনিয়ন এবং অপর প্রান্তে ছয়টি ইউনিয়ন। জেলা সদরের সঙ্গে কালিয়া উপজেলার সরাসরি যোগাযোগের কোনো ব্যবস্থা নেই।

কালিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মুশফিকুর রহমান লিটন জানান, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে কাজ চলছে ধীরগতিতে। বারবার সময় পেলেও কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হচ্ছে ঠিকাদার।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা জানান, ‘শুরুর দিকে সেতুর নকশা জটিলতার কারণে সেতুটির নির্মাণকাজ দুই-তিন মাস বিলম্ব হয়েছে।’

নড়াইল সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ এম আতিকুল্লাহ বলেন, ‘আশা করছি আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে এ সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে।’

সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলেও সত্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের ধীরগতির কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হয়নি। আশা করছি দ্রুত এই কাজ শেষ করে নড়াইল ও কালিয়া উপজেলার পথচারীদের পারাপার সহজ করে দেওয়া হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com