দাম কমার একদিন পর আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে বস্ত্র খাত। বিমা ও বস্ত্র খাতের শেয়ারের দাম বৃদ্ধির ওপর ভর করে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (১৫ জুন) পুঁজিবাজারে উত্থান হয়েছে। এদিন সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনও। ফলে রবি ও সোমবার টানা দুই কার্যদিবস পর পুঁজিবাজারে উত্থান হলো।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকাল ১০টায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিমা খাতের শেয়ারের পাশাপাশি অন্যান্য খাতের কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পায়। ফলে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় দিনের লেনদেন শুরু হয়। তাতে সকাল ১০টা ২০মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়ে ২৬ পয়েন্ট।
এরপর ব্যাংক, ওষুধ ও রসায়ন এবং মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের বিক্রির চাপে শুরু হয় সূচকের উঠানামা যা অব্যাহত ছিল দুপুর ১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। কিন্তু এরপরে এক ঘণ্টা লেনদেনে ব্যাংকের শেয়ারের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বস্ত্র খাতের কিছু কোম্পানির শেয়ারের বিক্রির চাপ বাড়ে। তাতে সূচকের নেতিবাচক প্রবণতার মধ্য দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়। তবে আগের দিনের মতোই পুঁজিবাজারে উত্থান ধরে রাখতে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে বিমাখাত।
এদিনও বাজারে তালিকাভুক্ত ৫০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯টির, কমেছে ১০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। অপরিবর্তিত রয়েছে একটি কোম্পানির শেয়ার দর। বস্ত্র খাতের ৫৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩১টির, কমেছে ২১টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ছয়টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এছাড়া মিশ্রপ্রবণতায় লেনদেন হয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও প্রকৌশল খাতের শেয়ারের।
মূলত বিমা ও বস্ত্র খাতের শেয়ারের দাম বৃদ্ধির ওপর ভর করে দিন শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ৯ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমেছে ১ পয়েন্ট।
ডিএসইর তথ্য মতে, মঙ্গলবার (১৫ জুন) ডিএসইতে মোট ৩৭২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫২টির, কমেছে ১৯৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির। তাতে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩২ কোটি ৫৮ লাখ ৬ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৩৭ কোটি ৭০ লাখ ৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বেশি।
বেশির ভাগ শেয়ারের দাম কমলেও বড় বড় কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় এদিন আগের দিনের চেয়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ২২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক দশমিক ৫২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৮৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৭৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
লেনদেনের শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। এরপর বেশি লেনদেন হয়েছে পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্সের শেয়ার। এরপর ক্রমান্বয়ে রয়েছে, ন্যাশনাল পলিমার, প্রগতি ইনস্যুরেন্স, লুব-রেফ, গ্রিন ডেল্টা, এনার্জি প্যাক পাওয়ার, মীর আখতার হোসেন, নর্দার্ন ইনস্যুরেন্স এবং ফরচুন সুজ লিমিটেড।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১ কমে ১৭ হাজার ৪৬৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেড়েছে ১১৮টির, কমেছে ১৬৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির শেয়ারের দাম।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯০ কোটি ৭৭ লাখ ১৯ হাজার ১৮৫টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭৯ কোটি ৯২ লাখ ২৮ হাজার ৮৫৯ টাকা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ