করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে শ্বশুর। অসুস্থ শ্বশুরকে চিকিৎসার জন্য পিঠে করে হাসপাতাল নিয়ে গেছেন এক নারী। ভারতের আসাম রাজ্যে ঘটনাটি ঘটেছে।
আসামের নওগাঁ জেলার বাসিন্দা ওই নারী। তার নাম নীহারিকা দাস। শ্বশুরকে পিঠে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া নীহারিকা দাসের ছবি এখন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে বেশ প্রশংসা কুড়াচ্ছে।
আসামের অভিনেত্রী থেকে শুরু করে বিহার-মুম্বাই-চেন্নাইয়ের বহু মানুষ প্রশংসা করছেন নীহারিকার। কিন্তু এসবে নজর রাখার অবস্থায় নেই ওই নারী। তিনিও যে করোনায় আক্রান্ত রয়েছেন!
জানা গেছে, ওই নারীর স্বামী কর্মসূত্রে রাজ্যের বাইরে থাকেন। বাড়িতে বৃদ্ধ শ্বশুর থুলেশ্বরের দেখভাল, সংসার সামলানো সব কাজ করেন নীহারিকা।
শ্বশুরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেকের কাছে সাহায্য চেয়েও পাননি তিনি। বাধ্য হয়ে নিজের পিঠে তুলে করেই তিনি রওনা হন স্থানীয় রাহা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে থুলেশ্বর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। করোনা ধরা পড়ে ওই নারীরও।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে থুলেশ্বরকে হাসপাতালে ও নীহারিকাকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। কিন্তু শ্বশুরকে একা ছেড়ে দিতে পারেননি নীহারিকা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই থেকে যান।
শেষ পর্যন্ত তাদের দুজনকেই অ্যাম্বুলেন্সে ভোগেশ্বর ফুকনানি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন একজন চিকিৎসক।
হাসপাতালে গিয়েও শ্বশুরের সেবা করছিলেন নীহারিকা। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
শ্বশুরকে তিনি বারবার অভয় দেন, এটা আইসিইউ দেউতা (বাবা), ভয় পাবেন না। বুড়ো হয়ে ঢুকেছেন, ডেকা (যুবক) হয়ে বের হবেন। দেউতা আপনার কোনো চিন্তা নেই। কাঁদবেন না একদম। আমি তো আছি আপনার ভরসা। আর আমার আছেন আপনি।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ