বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু আজ মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন চালু হবে এ মাসেই সাবেক সেনা সদস্য হত্যায় ৯ জনের যাবজ্জীবন ইতা‌লি ভিসাপ্রার্থীদের যে বার্তা দি‌লেন পররাষ্ট্র উপ‌দেষ্টা ময়মনসিংহে ‘চাঁদাবাজ’ রানাসহ ৬ আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার নিরাপদ খাদ্য পেতে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমাতে হবে ছয়দিন বন্ধ থাকবে সোনামসজিদ স্থলবন্দর টি-টোয়েন্টি থেকে মাহমুদউল্লাহর অবসর ঘোষণা শেখ হাসিনা কোথায় আছেন, জানালেন ছেলে জয় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুলসহ ৪ জনের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু পিএসসির চেয়ারম্যানসহ সব সদস্যের পদত্যাগ জামিন পেলেন সাবের হোসেন চৌধুরী, কারামুক্তিতে বাধা নেই বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষিত দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: মিলার সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে: ড. ইফতেখারুজ্জামান শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকে প্রবেশনারি অফিসারদের ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্স শুরু দুর্গাপূজার ছুটি বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন মন্ত্রী-এমপিরা কার ইঙ্গিতে পালালো তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন: ফারুক মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনেই চলবে হেলিকপ্টার! তাপসী তাবাসসুমকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ নেত্রকোণায় লাখ মানুষ পানিবন্দি, এক মৃত্যু

নওগাঁয় লোকালয়ে ভাগাড়, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় শনিবার, ৫ জুন, ২০২১
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে

নওগাঁ পৌরসভার অপরিকল্পিত ভাগাড়ের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। ভাগাড়ের ময়লা-আবর্জনা রাস্তায় চলে আসে। এটি লোকালয় থেকে শহরের বাইরে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তবে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রায় ১৪ কোটিরও বেশি টাকা খরচে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিশোধানাগার নির্মাণ করা হবে। ফলে এ সমস্যা আর থাকবে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁ পৌরসভা গঠিত হয় ১৯৬৩ সালে। তখন উকিলপাড়া, মাস্টারপাড়া, পার-নওগাঁ, হাট-নওগাঁ, বাঁঙ্গাবাড়িয়া, চকদেবপাড়া, কালীতলা, ধর্মতলা ও কাজীপাড়া ছিল পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত। এরপর ১৯৮৯ সালে আরও কিছু এলাকা পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত হয়।

 

এসব এলাকা হচ্ছে-আরজি নওগাঁ, রজাকপুর, শেখপুরা, বোয়ালিয়া, জগৎসিংহ, খালিশকুড়ি, ভবানীপুর, সুলতানপুর, কোমাইগাড়ি, বরুনকান্দি, শিবপুর, চকবাড়িয়া ও চকরাম চন্দ্র গ্রাম। বর্তমানে প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভাটি ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৯টি ওয়ার্ড পৌরসভা গঠিত হলেও ভাগাড় মাত্র একটি। যা শহরের কোমাইগাড়ী মহল্লার পুরাতন ‘গো-হাটি’ বা ‘মল ফেলা’ নামে পরিচিত। নওগাঁ সরকারি কলেজ থেকে শহরের বাইপাস শীবপুর সড়কের কোমাইগাড়ী মহল্লার ছোট যমুনা নদীর তীররক্ষা বাঁধের পশ্চিম পাশে অবস্থিত এটি। আর রাস্তার পূর্ব পাশে নদী। প্রতিদিন পৌরসভার কয়েক টন বর্জ্য এই ভাগাড়ে ফেলা হয়। এসব ময়লা-আবর্জনা অনেক সময় ছোট যমুনা নদীতে গিয়েও পড়ে। বৃষ্টির পর ভাগাড়ের ময়লা-আবর্জনার পানি রাস্তা চলে আসে। এতে করে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী এবং পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

ভাগাড়ের আশপাশে গড়ে উঠেছে আবাসিক এলাকা। একসময় জনসংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে বেড়েছে। ভাগাড়ের তীব্র গন্ধে অতিষ্ঠ স্থানীয়রা। তারা ভাগাড়টি লোকালয়ের বাইরে সরিয়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

 

ভাগাড়-সংলগ্ন বাসিন্দা গৃহবধূ মালা বলেন, তার স্বামী পেশায় একজন রিকশাচালক। চার বছরের মেয়ে সুমাইয়াকে নিয়ে গত ছয় বছর ধরে ভাগাড়ের উত্তরের পাশে প্রায় ১০০ ফুট দূরে ভাড়া বাসায় থাকেন। ভাগাড় থেকে সবসময় তীব্র গন্ধ আসে। গন্ধে বাচ্চার প্রায় পেটের সমস্যা, সর্দি ও কাশি হয়। বৃষ্টির পর যখন রোদ ওঠে তখন গন্ধ আরও তীব্র হয়। দক্ষিণের বাতাসে ঘরের দরজা ও জানালা বন্ধ রাখতে হয়।

ভাগাড়-সংলগ্ন চাতালে কাজ করেন মনোয়ারা বেগম। তিনি বলেন, ‘সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত গুঁড়া ভাঙানোর কাজ করি। ভাগাড়ের তীব্র গন্ধে অনেক সময় বমি হওয়ার মতো অবস্থা হয়। অতিরিক্ত গন্ধে পেটে অশান্তি কাজ করে। আবার বৃষ্টিতে ময়লাগুলো রাস্তার চলে যায়। পানি নোংরা হয়ে যায়।

কোমাইগাড়ী মহল্লার বাসিন্দা শাহেদ মণ্ডল ও মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, একসময় এখানে জনবসতি কম ছিল। তখন ময়লা-আবর্জনাও কম ছিল। কিন্তু এখন জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে জনবসতিও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ময়লা-আবর্জনাও বেশি হচ্ছে। জনবসতির মাঝে থাকা এই ভাগাড়ের দুর্গন্ধে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় নাকে কাপড় দিয়ে যেতে হয়। শুনেছি এখানে বর্জ্য পরিশোধানাগার করে জৈবসার তৈরি করা হবে। যদি তাই হয় তাহলে ভাগাড়টি শহরের বাইরে সরিয়ে সেখানে পরিশোধানাগার তৈরি করা হোক। তাহলে মানুষ রোগ-বালাই থেকে মুক্ত থাকবে।

 

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, পরিবেশ রক্ষায় শুধু পৌরসভার ওপর নির্ভর করলে হবে না, পৌরবাসীকেও সচেতন হতে হবে। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। যেন পরিচ্ছনতা কর্মীরা নিয়ে যেতে পারে। সামাজিকভাবে নিজেদের উদ্যোগ নিতে হবে।

নওগাঁ পৌরসভার মেয়র নজমুল হক সনি বলেন, ভাগাড়ের ওই ময়লা-আবর্জনা থেকে কম্পোস্ট সার তৈরি করা হবে। একটি বিদেশি দাতা সংস্থা এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। এই প্রকল্পে পয়ঃনিষ্কাশন বর্জ্যের বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য পরিবহনে আধুনিক ব্যবস্থাপনা ও পরিশোধানাগার নির্মাণ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণে ইতোমধ্যে টেন্ডার হয়েছে। ওয়ার্ক অর্ডারও দেয়া হয়েছে। ক্যাপাসিটি অনুযায়ী শুধু নওগাঁ পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা দিয়ে হবে না, নজিপুর পৌরসভা এবং সান্তাহার পৌরসভার আবর্জনারও প্রয়োজন হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ইউজিপি-৩ প্রকল্প থেকে ১৪ কোটির বেশি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ডিজাইন হবে। পচনশীল ও অপচনশীল আবর্জনা কোথায় ফেলা হবে তা আলাদাভাবে নির্ধারণ করা হবে। পচনশীল আবর্জনা থেকে কম্পোস্ট সার হবে। পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় ভ্যান দিয়ে আবর্জনা সংগ্রহ করা হবে। কাজটি শিগগিরই শুরু হবে।

বাংলা৭১নিউজ/বিএফ

 

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com