অমরত্ব পেয়ে যাওয়া হয়তো সম্ভব নয়। তবে চাইলে বেঁচে থাকতে পারবেন ১৫০ বছর! যদি ঘাড়ে না চেপে বসে বড় কোনো অসুখ বা দুর্ঘটনা। এমনটাই জানা নতুন এক গবেষণায়।
মানুষের আয়ু কত লম্বা হতে পারে, জানার চেষ্টা করছেন সিঙ্গাপুরভিত্তিক বায়োটেক সংস্থা গিরোর গবেষকরা।
‘নেচার কমিউনিকেশন’ নামক এক জার্নালে বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ১২০-১৫০ বছর পর্যন্ত আয়ু থাকতে পারে মানুষের।
সেখানে আরও বলা হয়েছে, মৃত্যু হলো একটি জৈবিক প্রক্রিয়া। মানসিক বা শারীরিক চাপের উপরে তা নির্ভরশীল নয়। শরীরের ডায়নামিক অর্গ্যানিজম স্টেট ইন্ডিকেটরের স্কোর জানিয়ে দেবে কতদিন বাঁচতে পারেন আপনি। আর সেই স্কোরে সেঞ্চুরি হাঁকালে রেডিও থেকে ভিডিও কলের মতো দীর্ঘ জীবনে জার্নি করার সুযোগ মিলবে আপনার।
বার্ধক্য যখন আসে, তখন শরীরে নানারকম পরিবর্তন আসে। রক্তকোষে একাধিক বদল আসে। এই গবেষণায় মানুষের হাঁটাচলা থেকে যাবতীয় সবকিছুতে দৃষ্টিনিক্ষেপ করা হয়েছে। মূলত, ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার অনেক মানুষকে নিয়ে চলেছে সমীক্ষা।
বিজ্ঞানীরা সর্বাধিক বয়স মাপার জন্য বিশেষ কিছু ইন্ডিকেটর্স তৈরি করেছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ডায়নামিক অর্গ্যানিজম স্টেট ইন্ডিকেটর। এটা থকে জানা যায়, মানুষ কত বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে! তার জন্য বিশেষ ধরনের রক্ত পরীক্ষা করতে হবে।
পরীক্ষায় রক্তে উপস্থিত শ্বেত কণিকা, লোহিত কণিকা এবং প্লেটলেট বা অনুচক্রিকার হিসাব করা হয়। বয়স বাড়া মানে শরীরবিদ্যায় বলা যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্রমশ কমতে থাকে মানুষের।
ডায়নামিক অর্গ্যানিজম স্টেট ইন্ডিকেটরের স্কোর যত কম হবে, নির্দিষ্ট মাপকাঠি অনুয়ায়ী তত কম বয়স পর্যন্ত বাঁচবেন ব্যক্তি। সাধারণ রোগের উপর শরীর কেমন কাজ করতে পারে তা এই স্কোরের ভিত্তিতে জানা যেতে পারে। এই স্কোর রেট যদি সঠিক রাখা যায়, তাহলেই ১৫০ বছর বাঁচবেন আপনি। এখন এটা কীভাবে সম্ভব হতে পারে তার জন্য দীর্ঘ গবেষণা এখনও চলছে।
সূত্র: জিনিউজ
বাংলা৭১নিউজ/এসএম