বাংলাদেশি তরুণী ভারতে যৌন নির্যাতিত হওয়ার ঘটনায় সবাইকে আটক করার পর ভুক্তভোগীকে নিজেদের জিম্মায় নিয়েছে পুলিশ। কর্নাটক পুলিশ ওই তরুণীকে কেরালার কোঝিকোড় থেকে উদ্ধার করেছে।
গত শুক্রবার রাতেই ওই তরুণীর অবস্থান চিহ্নিত করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ একটি দল। পরে তাকে উদ্ধার করে মেডিকেল পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।
ভারতের কেরালায় বাংলাদেশি ওই তরুণীকে বিবস্ত্র করে যৌন নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। কয়েকজন যুবক ও এক নারী ওই তরুণীকে নির্যাতন করেন। দুই সপ্তাহ আগের ভিডিও এটি।
ওই তরুণীকে কেরলা রাজ্যে পাচার করে টিকটক হৃদয় গ্যাং। তারপর শুরু হয় দৈহিক ও মানসিক নির্যাতন। ওই কিশোরীকে টিকটক ভিডিও দেখিয়ে প্রেমে ফুঁসলিয়ে পাচার করা হয়েছিল।
তরুণীকে উদ্ধারের পর প্রথমে বায়প্পানাহল্লি থানায় এবং পরে বাউরিং হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছিল।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ এবং দু’জন নারী। ভুক্তভোগী তরুণীর বয়স ২০-২২ বছর এবং তিনি ঢাকার বাসিন্দা।
পুলিশ বলছে, ওই তরুণী কেবল নির্যাতন ও ধর্ষণেরই শিকার হননি। ওই গ্যাংয়ের সদস্যদের হাতে ব্ল্যাকমেইলেরও শিকার হয়েছেন। তারা তরুণীকে হুমকি দিয়েছিল, টাকা না দিলে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেবে।
এর আগে গত শুক্রবার আটকদের মধ্যে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টা করলে তাদের পায়ে গুলি করা হয়। ঘটনা পুনর্নির্মাণের সময় তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল।
সূত্র: নর্থ ইস্ট লাইভ টিভি
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ