রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ডেঙ্গুতে একদিনে রেকর্ড ৯ জনের মৃত্যু ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করায় ডিএমপিতে মামলা ৮৩৮, জরিমানা ৩৮ লাখ আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার নেই: ইসি সংস্কার প্রধান ফেনীর সাবেক এমপি হাজী রহিম উল্লাহ ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার ময়মনসিংহে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা ‘উৎসব অন্ধকার থেকে আলোকের উদ্ভাসন’ ফরিদপুরে অ্যালকোহল পানে দুই কলেজছাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রামে চীনা নৌ জাহাজ আপনারা না পারলে দায়িত্ব আমাদের দেন: সারজিস আলম ভারী বৃষ্টির পর মক্কায় আকস্মিক বন্যা বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ তুলতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ নেত্রকোনায় বন্যায় সড়কে ক্ষতি ২০০ কোটি টাকা রাষ্ট্রের কাঠামো ভেঙে পড়েছে : উপদেষ্টা সাখাওয়াত পরকীয়া প্রেমিককে বিয়ে, ৬ বছর পর ফিরে আসায় প্রথম স্বামীকে খুন! সাবের হোসেন চৌধুরীকে বিদেশিদের চাপে মুক্তি দিয়েছে সরকার : নুর প্রধান উপদেষ্টার ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার ব্যাপারে যা বললেন জ্বালানি উপদেষ্টা জড়িতদের বিচার দাবিতে তাঁতীবাজারে সড়ক অবরোধ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরালো করার বার্তা যুক্তরাষ্ট্রের গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪৯

আইএসের হত্যাযজ্ঞের রহস্যময় গর্তের সন্ধান

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০১৭
  • ২০৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: ইরাকের মসুল শহরের কাছে একটি ভয়ংকর গর্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। যেটি মূলতঃ লাশের ভাগাড়।

জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) সদস্যরা জনসাধারণকে হত্যা করে এখানে লাশ ফেলতো।

আড়াই বছর আগে ইরাকের মসুল শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয় আইএস। এরপর মসুল বিমানবন্দরের দক্ষিণ-পশ্চিমে ১০০ ফুট লম্বা ভূগর্ভস্থ ভাগাড়টি তৈরি করা হয়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই ভাগাড়টি সংক্ষিপ্ত বিচারের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল, যেখানে লোকজনদের ধরে এনে গুলি করে গর্তে ফেলে দেয়া হতো। অনেককে লাথি দিয়ে নিচে ফেলে গুলি করা হতো। অনেক সময় বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাকে করে লাশ এনে ভাগাড়টিতে ছুঁড়ে ফেলা হতো।

মসুলের বাসিন্দারা এই গণকবরটিকে ‘খাসফা’ বলে ডাকেন। এটি ইরাকের সবচেয়ে বড় গণকবর। এটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে কানাঘুঁষা থাকলেও তারা আইএসের ভয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতেন না।

তবে গত মাসে ইরাকের সরকারি বাহিনী মসুলের ওই এলাকার দখল নেয়ার পর শহরটির পশ্চিমাঞ্চল সংলগ্ন এই লাশের ভাগাড়ের সন্ধান পাওয়া যায়।

স্থানীয়রা কেউ জানে না গর্তটির গভীরতা কতটুকু। আইএস সদস্যরা গর্তটি লাশ ও বিস্ফোরক দিয়ে ভরে ফেলছিল।

স্থানীয়দের বরাতে ইরাকি কর্মকর্তারা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গর্তটিতে কয়েক হাজার মানুষকে ফেলা হয়েছে।

তবে আইএসের দখলের অনেক আগে থেকেই এই গোপন গর্তটির অস্তিত্ব ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আইএসের নির্মম অভিযানের আগেই ইরাকি কর্তৃপক্ষ দেশটিতে থাকা গণকবরগুলোর সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করছিল। ইরাকের প্রয়াত শাসক সাদ্দাম হোসেনের সময় প্রায় ১০ লাখ মানুষ নিখোঁজ ছিলেন।

এদিকে ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের পর ইরাকে ব্যাপকহারে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

ইরাকি মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা আইএসের গণকবরগুলোকে চিহ্নিত করার কাজ করলেও এ পর্যন্ত কতটি গণকবর খুঁজে পেয়েছে তা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি।

এদিকে গত গ্রীষ্মে সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছিল, ইরাক এবং সিরিয়ায় আইএসের ৭২টি গণকবরের সন্ধান পেয়েছিল তারা। এতে অন্ততঃ ১৫ হাজার মানুষকে মাটি চাপা দেয়া হয়। এই সংখ্যা আরও বেশি হবে ধারণা করা হচ্ছে।

ইরাকের সিনজার শহরে কয়েকডজন গণকবর রয়েছে। এসব কবরে কয়েক হাজার ইয়াজিদির প্রাণদণ্ড কার্যকর করে সমাহিত করা হয়েছে।

এছাড়া ইরাকের তিকরিত শহরেও বেশ কিছু গণকবর রয়েছে। এরমধ্যে এক হাজার ৭শ’ ইরাকি সেনাকে সমাহিত করা হয়েছে। আইএস তাদের প্রাণদণ্ড কার্যকর করেছিল।

সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট

বাংলা৭১নিউজ/এম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com