ভোলায় ৬৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি গ্যাসকূপ খনন কাজের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে ক্রয় প্রস্তাবগুলো অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব,সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড.শাহিদা আক্তার। বৈঠকে ২৯৮৮ কোটি ৪৯ লাখ ৯৬ হাজার ৩৯৩ টাকা ব্যয়ে মোট ৬টি ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আজকে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৯তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ৯টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের ২টি,স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের টেবিলে ১টিসহ মোট ৩টি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ১টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ১টি,বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ১টি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১টি এবং বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের ১টি প্রস্তাব ছিল। এরমধ্যে ৬টি প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরবেন অতিরিক্ত সচিব ড.শাহিদা আক্তার।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতায় বাপেক্স কর্তৃক রাশিয়া ফেডারেশনের রাষ্ট্রীয় কোম্পানি গাজপ্রমের কাছ থেকে ভোলা জেলায় টার্ন-কি পদ্ধতিতে তিনটি কূপ খনন কাজের অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৬৪৮ কোটি ৩৯ লাখ ১১ হাজার ৮৫০ টাকা।
জানা গেছে, ভোলা গ্যাসক্ষেত্র বাপেক্সই ১৯৯৫ সালে আবিষ্কার করে। সেখান থেকে সংস্থাটি ২০০৯ সাল থেকে গ্যাস উত্তোলন করছে, যা শুধু ভোলায় ব্যবহৃত হয়। ভোলায় এখন পর্যন্ত ছয়টি কূপ খনন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পিজেএসসি গাজপ্রমকে ২০১২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৭টি কূপ খননের কাজ দিয়েছে। এ জন্য ব্যয় হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। কূপগুলো এরিয়েলকে দিয়েই খনন করিয়েছে গাজপ্রম।
বাংলা৭১নিউজ/এমএস