বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: বিশ্বব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তার ব্যবহৃত আরেকটি গাড়ি শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর জব্দ দেখিয়েছে।
আজ সকালে কাগজপত্র যাচাই শেষে গাড়িটি জব্দ দেখানো হয়।
এ নিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহারের অভিযোগে সংস্থাটির মোট তিনটি গাড়ি জব্দ হল।
অবশ্য গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫টায় বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ অফিস থেকে একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরে গাড়িটি পাঠানো হয়।
সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা ১৬টি গাড়ি অপব্যবহারের অভিযোগ এনেছিল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
এ অভিযোগের পাঁচ দিন পর গত ২০ ফেব্রুয়ারি দুটি গাড়ি জমা দেয় সংস্থাটি।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, আজ জব্দ করা গাড়িটি ব্যবহার করতেন নিহাল ফার্নান্দো। তিনি সংস্থাটিতে ২০০৮ সালের এপ্রিল থেকে ২০১০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে সিনিয়র রুরাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এখানে থাকাকালে ব্যক্তিগত ব্যবহারের উদ্দেশে তিনি গাড়িটি শুল্কমুক্ত সুবিধায় কেনেন। পরে ২০১০ সালের ডিসেম্বরেই স্থায়ীভাবে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন নিহাল।
তার (কাস্টমস পাসবুক নং ৫০/০৮) ব্যবহৃত ওই গাড়ি ২০০৬ সালের টয়োটা এলিয়ন মডেলের।
বাংলাদেশ ত্যাগের আগে আইনানুযায়ী কাস্টমস পাসবুক ও গাড়িটি কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে যাননি নিহাল। এতে শুল্ক আইন ভঙ্গ হয়, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
বাংলাদেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিদেশী সংস্থায় কর্মরত প্রিভিলেজড পারসনদের শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার-সংক্রান্ত চলমান তদন্তের প্রয়োজনে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর থেকে বিশ্বব্যাংকের কাছে তথ্য চাওয়া হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ দফতর থেকে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল শুল্ক গোয়েন্দা দফতরে উপস্থিত হয়ে তাদের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে। শুল্ক গোয়েন্দার তদন্তে সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেয়া হয়।
সম্প্রতি এনবিআরের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ৩৯৫ জন বিদেশী নাগরিক বাংলাদেশে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সময় শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি নিয়েছেন। কাজের মেয়াদ শেষে তারা শুল্কমুক্ত গাড়ি সুবিধার অনুকূলে ইস্যু করা পাসবইগুলো এনবিআরে ফেরত দেননি।
এ তালিকায় বিশ্বব্যাংক, জাইকা, ইউএনডিপিসহ ২৫টি উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান আছে। বিশ্বব্যাংকের ৫৩ জন কর্মকর্তা গাড়ি বুঝিয়ে দেননি।
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এসব পাসবই জমা দেয়ার সময় বেঁধে দিয়েছিল চিঠি দিয়েছিল শুল্ক গোয়েন্দা। তখন বিশ্বব্যাংক ৩৫টি পাস বই শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরে জমা দেয়।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস