সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিশ্ব অর্থনীতির দুই পরাশক্তি চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। একে অপরের বিরুদ্ধে ক্রমাগত নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়ে আসছে। এমতাবস্থার মধ্যেই এবার জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলো দেশ দুটি। আজ রবিবার (১৮ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে সাংহাইতে চীনের জলবায়ু সংক্রান্ত দূত জি ঝেনহুয়া এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ু সংক্রান্ত বিশেষ দূত জন কেরির মধ্যে বেশ কয়েকটি বৈঠকের পর তারা এ সিদ্ধান্তে একমত পোষণ করেছেন। তারা উভয়ই আরো নির্দিষ্ট পদক্ষেপে নির্গমন হ্রাস করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে জলবায়ু সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বেইজিং জানিয়েছে তারা এটির অপেক্ষায় রয়েছে। যদিও ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ সম্মেলনে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং অংশ নেবেন কিনা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় একে অপরকে এবং অন্যান্য দেশের সাথে একত্রে কাজ করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। প্রয়োজন অনুযায়ী গুরুত্ব এবং জরুরিভাবে এসব কাজ করা হবে। উভয় দেশই ২০২০-এর দশকে প্যারিস চুক্তি সমন্বিত তাপমাত্রা সীমার নাগালের মধ্যে রেখে নির্গমনকে হ্রাস করার লক্ষ্যে পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবে। পাশাপাশি স্বল্প-কার্বন শক্তিতে স্যুইচ করার ক্ষেত্রে তারা উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থায়নে সহায়তা করবে।
বিষয়টিকে ‘পজেটিভ’ আখ্যা দিয়ে পরিবেশ বিষয়ক গ্রুপ গ্রিনপিসের সিনিয়র উপদেষ্টা লি শুও বলেন, নির্দিষ্ট এই ইস্যুতে (জলবায়ু পরিবর্তন) চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা করার ঘোষণা একটি দ্ব্যর্থহীন বার্তা দেয়। এমন কিছু ঘোষণা আসতে পারে যে সে ব্যাপারে সাংহাইতে বৈঠকের আগে আমাদের কোনো ধারণা ছিল না।
বাংলা৭১নিউজ/এমএস