মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনে দুটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এসএম হানিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী সোহেল রানা মিঠুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুইপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অন্তত ৫ জন গুরুতর আহত হন। পরে বিজিবি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে পৌঁছে কঠোর অবস্থান নেন। পুলিশ ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বুধবার দুপুরে পাঙ্গাশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিকারমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীন বিকাল ৪টা পর্যন্ত মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার সংখ্যা বাড়তে থাকে। সকালে ভোটার উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ছিল।
মাদারীপুর জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মনিরুজ্জামান জানান, কালকিনি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩৩ হাজার ৪০০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ৯৫৮ জন ও নারী ভোটার ১৬ হাজার ৪৪২ জন। নির্বাচন চলাকালে একজন জুডিশিয়াল বিচারকসহ মোট ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ নির্বাচনে মোট ৬৭০ জন পুলিশ সদস্য, ২ প্লাটুন বিজিবি, র্যা বের ৩টি টিম, গোয়েন্দা পুলিশ ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ৩০ জন করে পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি প্রচুর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালন করেছে। এই পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৬ জন।
এছাড়া কাউন্সিলর পদে ৩০ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
বাংলা৭১নিউজ/এবি