শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিসিএস ক্যাডার! হাইকোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী লামায় অগ্নিসংযোগ: ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উপদেষ্টা-প্রশাসন নসরুল হামিদের ৩৬ কোটি টাকার সম্পদ, অস্বাভাবিক লেনদেন ৩১৮১ কোটি তিন উপদেষ্টাকে বিপ্লবী হতে বললেন সারজিস আলম জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম ফায়ার ফাইটার নিহতের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা কোরিয়া থেকে ৬৯৩ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার সাভারে বন্ধ টিএমআর কারখানা চালুর নির্দেশনা উপদেষ্টার দুদকের সাবেক কমিশনার জহুরুল হকের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু কনস্টাসকে ধাক্কা দেওয়ায় কোহলিকে আইসিসির শাস্তি শেখ হাসিনা-শেখ রেহানার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি ফখরুলের ১১ বছর পর দেশে ফিরছেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক যারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত প্রাণ এএমসিএলের ৩২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন সেতু মন্ত্রণালয় থেকে বাদ যাচ্ছে ১১১৮৬ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বিমানের সিটের নিচে মিলল ২০ সোনার বার, যাত্রী আটক ‘পিলখানা হত্যায় নিরপেক্ষ থেকে ষড়যন্ত্র চিহ্নিত করা হবে’ চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস

অভিযানে জব্দকৃত জাল গোপনে বিক্রির অভিযোগ

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ, ২০২১
  • ৫০ বার পড়া হয়েছে

মৎস্য বিভাগের অভিযানে জব্দকৃত জাল বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে গোপনে। এছাড়া, এসব অভিযানে আটক জেলেদেরও ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে নিয়ম ছাড়াই। মৎস্য বিভাগের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেছেন ভোলার দৌলতখানের স্থানীয়রা।

ভোলার দৌলতখানের মেঘনা নদীতে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস ইলিশ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। প্রশাসনের অভিযানের মধ্যেও উপজেলার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। তবে ইলিশ ধরা বন্ধে মৎস্য বিভাগের অভিযান নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

জানা গেছে, সর্বশেষ গত শনিবার (১৩ মার্চ) একটি ট্রলার ও স্পিডবোট যোগে দৌলতখানের মেঘনায় ইলিশ রক্ষা অভিযানে নামে উপজেলা মৎস্য দপ্তর। ওই দিন দুই দফা মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ২১ জন জেলে, তিনটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার জব্দ করা হয়। এ ছাড়া অভিযানে জব্দকৃত জালগুলো দুই হাজার মিটার বলে জানানো হয়। অভিযান শেষ করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমির হোসেনের উপস্থিতিতে জব্দকৃত জাল মেঘনার পাড়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

কিন্তু ওই দিন রাতে অভিযানে জব্দকৃত জাল গোপনে বিক্রির অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, শনিবার মৎস্য দপ্তরের অভিযানে জব্দকৃত জাল অভিযানে ব্যবহৃত ট্রলারের দুই মাঝি তসির ও মনির গোপনে বিক্রি করছিলেন। এ সময় তারা স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়েন। পরে স্থানীয়রা ধাওয়া করলে তসির ও মনির জাল ফেলে পালিয়ে যান। ঘটনাটি স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও জানান।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) আমির হোসেন জানান, ওই দিন (শনিবার) মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে জেলে, জাল ও ট্রলার জব্দ করা হয়। ট্রলারে জাল লুকিয়ে রাখার বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। জাল বিক্রির খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে তারা জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে ফেলেছেন।

অভিযানে আটক জেলেদের নিয়ম কানুন ছাড়াই ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আমির হোসেন। তিনি জানান, আটককৃত জেলেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ভোলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাউছার হোসেন বলেন, মৎস্য দপ্তরের এ অনিয়মের দায়ভার উপজেলা প্রশাসন গ্রহণ করবে না। ইতিমধ্যে মেঘনায় অভিযান পরিচালনার সময় নদীতে আটক জেলে ও নৌকা ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। আমরা মৎস্য দপ্তরকে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তাদের দায়ভার আমরা নেব না।

বাংলা৭১নিউজ/জিকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com