বাংলা৭১নিউজ, গাজীপুর : টঙ্গীতে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত আজ।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, রোববার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে টঙ্গীতে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে।
বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, সকালে মুসল্লিদের উদ্দেশে বয়ান শুরু করেছেন বাংলাদেশের মাওলানা সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম। এরপর শুরু হবে হেদায়াতি বয়ান। হেদায়াতি বয়ান তরজমা করবেন বাংলাদেশের মাওলানা ওমর ফারুক। হেদায়াতি বয়ান এবং আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন ভারতের মাওলানা মুহাম্মদ সা’দ। আর এ আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব তথা এবারের ৫২তম বিশ্ব ইজতেমা।
দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমার ঢাকাসহ ১৭ জেলার লাখ লাখ মুসল্লি অংশ নিচ্ছেন। অংশ নিচ্ছেন বিদেশি মুসল্লিরাও। রোববার সকাল পর্যন্ত বিশ্বের ৯৫টি দেশের ৬ হাজার ৩৬০ জন মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে এসে পৌঁছেছেন। পবিত্র হজের পর মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ জামায়েত অংশ নিতে কয়েক লাখ দেশি-বিদেশি মুসল্লি বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন। আখেরি মোনাজাতে শরীক হতে অনেকে শনিবার টঙ্গীতে পৌঁছেছেন। কেউ কেউ অবস্থান নিয়েছেন টঙ্গী ও আশপাশ এলাকার আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে।
এ দিকে আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ইজতেমামুখি সড়ক-মহাসড়কে গণপরিবহন নিয়ন্ত্রণ রাখায় মোনাজাতে অংশ নিতে ভোর থেকে মুসল্লিরা হেঁটেই ইজতেমা ময়দানে এসেছেন। আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত ইজতেমামুখি মানুষের ঢল অব্যাহত থাকবে।
বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে টঙ্গী জংশন দিয়ে চলাচলকারী সকল ট্রেন যাত্রা বিরতি দিচ্ছে। আখরি মোনাজাত উপলক্ষে এ জংশন দিয়ে ১৪টি বিশেষ ট্রেন চলাচল করছে। এ ছাড়া বিআরটিসির ২২৮টি বাস যাতায়াত করছে।
দ্বিতীয়পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় শুক্রবার বাদ ফজর ভারতের মাওলানা মোহাম্মদ শামীমের বয়ানের মধ্য দিয়ে। দুপুরে অনুষ্ঠিত জুমার নামাজে ইমামতি করেন ভারতের হযরত মাওলানা মুহাম্মদ সা’দ। এ দিন বাদ জুমা বাংলাদেশের মাওলানা ফজলুল হক, বাদ আসর দিল্লীর মাওলানা রবিউল হক ও বাদ মাগরিব হযরত মাওলানা মুহাম্মদ সা’দ বয়ান করেন। দ্বিতীয়দিন শনিবার বাদ ফজর ভারতের মাওলানা জমশেদ, বাদ যোহর মাওলানা মোরসালিন, বাদ আছর মাওলানা ইউসুফ এবং বাদ মাগরিব মাওলানা সা’দ বয়ান করেন। মূল বয়ান উর্দূতে হলেও বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন ভাষাভাষি মুসল্লিদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ওই বয়ান বাংলা, ইংরেজি, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফরাসিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়।
এর আগে একই ময়দানে গত ১৩ জানুয়ারি শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। প্রথম পর্বে ঢাকা, গাজীপুর ১৭ জেলার মুসল্লিরা অংশ নেন। ১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছিল প্রথম পর্ব। চার দিন পর ২০ জানুয়ারি শুরু হয় দ্বিতীয় পর্ব।
বাংলা৭১নিউজ/এম