মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
নাঈমুল ইসলাম খান ও তার পরিবারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বিমসটেক সেক্রেটারি জেনারেলের সাক্ষাৎ প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা কবে নাগাদ সব শিক্ষার্থী পাঠ্যবই পাবে জানি না: শিক্ষা উপদেষ্টা ট্রাইব্যুনালের মূল ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি পুলিশে চাকরি পাচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে আহত ১০০ জন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় শুনানি মুলতবি সচিবালয়ের গেটে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ পাঁচ মাসে আর্থিক স্থিতিশীলতায় খুব বেশি খুশি নয় বাংলাদেশ ব্যাংক জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে ৮ পরিচালক নির্বাচিত রংপুরের বিপক্ষে এবার ঢাকা অলআউট ১১১ রানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে তিব্বতে নিহত বেড়ে ৯৫ স্ত্রী-ছেলেসহ নাফিজ সরাফতের বাড়ি, জমি ও ১৮ ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ ফরিদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ৫ যাত্রী নিহত জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ১০০ জনের কর্মসংস্থানের প্রস্তাব ধানমন্ডির কাকলি হাইস্কুল ও না.গঞ্জের ডিপিডিসি অফিসে দুদকের অভিযান দুই মাস পর চালু হলো পায়রার দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন রয়-সাব্বির-মোসাদ্দেককে নিয়ে ব্যাটিংয়ে ঢাকা ক্যাপিটালস ভেঙেই গেল জেনিফার লোপেজের চতুর্থ সংসার

৮ হাফেজ সন্তানের বাবা, রসায়ন বইয়ের লেখক আর নেই

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. নূরুল হক মিয়া আর নেই। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।  

প্রফেসর নূরুল হক মিয়া একজন সুযোগ্য রসায়নবিদ ছিলেন। বিশেষ করে ১৯৭৩ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত সারাদেশে বহুল প্রচলিত ছিল তার লেখা এইচএসসির বইটি। মো. নুরুল হক শিক্ষকতার ১২ বছর কাটিয়েছেন ঢাকা কলেজে। তিনি রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে চার বছর দায়িত্ব পালন ছাড়াও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে প্রায় এক বছর দায়িত্ব পালন করেন। গুণী এই অধ্যাপক দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন।

১৯৪৪ সালের ১ জুলাই গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার জন্ম নেয়া নূরুল হক শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে। ব্যক্তিগত জীবনে তার আট সন্তানকে তিনি কোরআনের হাফেজ বানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, মো. নূরুল হক ১৯৬৯-এ শিক্ষকতার পেশায় যোগ দিয়ে অধ্যাপনা করেছেন দেশসেরা প্রতিষ্ঠানসমূহে। সর্বশেষ ২০০১ সালে তিনি ঢাকা কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। 

মো. নূরুল হক বিখ্যাত ছিলেন রসায়নবিদ হিসেবেও। কেমিস্ট্রি প্রফেসর হিসেবে তার খ্যাতির মূল কারণ ছিল বই। ইন্টার ও ডিগ্রি ক্লাসে রসায়নের ওপর লিখিত তার সাতটি বই সিলেবাসভুক্ত। বিশেষ করে ১৯৭৩ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত সারাদেশে এককভাবে রাজত্ব করেছে ইন্টারের তার লেখা রসায়ন বইটি। দ্বিতীয় কোনো বই ছিল না। 

চাকরি জীবন থেকে অবসরের পর অনেক ধরনের অফার থাকলেও তিনি সেগুলো গ্রহণ করেননি। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই তাবলিগ জামাতের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অধ্যাপনা ও লেখালেখির পাশাপাশি সারা জীবনই দাওয়াত ও তাবলিগের কাজ করেছেন। বিভিন্ন দেশে সফর করেছেন। 

তিনি দুই ছেলে ও ছয় কন্যার জনক। সবাইকেই তিনি কোরআনে হাফেজ বানিয়েছেন। দুই ছেলেই মাওলানা। দুজনই দেশে প্রথম সারির দ্বীনি প্রতিষ্ঠান জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার শিক্ষক।

বাংলা৭১নিউজ/এবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com