দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সবকটি মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনও।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই বড় উত্থানের আভাস পাওয়া যায়। লেনদেনে অংশ নেয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়তে থাকে। যা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত।
ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২২৬ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে পতনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ৩৪টি। আর ৯১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৯৭ পয়েন্ট বেড়ে পাঁচ হাজার ৫৪৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৪৬ পয়েন্ট বেড়ে সূচকটি দুই হাজার ১৪৬ পয়েন্টে উঠে এসেছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ২১ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ২৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্যসূচকের বড় উত্থানের পাশপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৮২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৮০১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এ হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ২৮০ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ২৩৮ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর ৯৮ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৮২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে ডিএসইতে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বেক্সিমকো ফার্মা, রবি, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ওয়ালটন, সামিট পাওয়ার, তোফিকা ফুড এবং বিডি ফাইন্যান্স।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৮৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২২৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৪টির এবং ৩৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এবি