বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:০৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
বেনজীরের স্ত্রী ও মেয়ের আয়কর নথি জব্দের আদেশ ভৈরব থানার লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার অবশেষে মায়ের বুকে ছেলে পোষ্য কোটা বাতিলসহ ৯ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের অনশন বাঘাবাড়ী নৌবন্দর নাব্য সংকট, ভিড়তে পারছে না জাহাজ নিয়োগ দুর্নীতি : ওয়াসার তাকসিমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা নির্বাচন সংস্কারে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের ১১ প্রস্তাব লন্ডনে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া ট্রাম্পের মানচিত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অঙ্গরাজ্য কানাডা ২০২৪ সালে সড়কে নিহত ৭ হাজারের বেশি : রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সিরিয়ার কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযানের হুমকি তুরস্কের টিসিবির নতুন চেয়ারম্যান ব্রি. জেনারেল ফয়সাল আজাদ একনেকে ৪ হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন ঢাকায় ছিনতাই বেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেন ডিএমপি কমিশনার বিডিআরের নিরপরাধ সদস্যদের মুক্তির দাবিতে পদযাত্রায় পুলিশের বাধা রায়েরবাজারে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিলেন আসিফ মাহমুদ নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দাবি মোটরবাইক, ফ্রিজ, এসি শিল্পে কর দ্বিগুন করল সরকার সচিবালয় গেটে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, তদন্তে ডিএমপির কমিটি গঠন

কবি আল মাহমুদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৪২ বার পড়া হয়েছে

সমকালীন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি আল মাহমুদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের আজকের এই দিনে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।

১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌড়াইলের মোল্লাবাড়িতে জন্ম নেন এই কবি। যার পুরো নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। তার পিতার নাম আব্দুর রব মীর ও মা রৌশন আরা বেগম। তিনি কুমিল্লার দাউদকান্দির সাধনা উচ্চ বিদ্যালয় এবং পরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ছাত্রজীবন থেকেই তার লেখালেখি শুরু।

সংবাদপত্রে লেখালেখির এক পর্যায়ে ১৯৫৪ সালে আল মাহমুদ ঢাকায় আসেন। কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী সম্পাদিত সাপ্তাহিক কাফেলায় লিখতে থাকেন। পাশাপাশি দৈনিক মিল্লাত পত্রিকায় প্রুফ রিডার হিসেবে সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি নেন। পরে ১৯৫৫ সালে কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী কাফেলার চাকরি ছেড়ে দিলে তিনি সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধের পর দৈনিক গণকণ্ঠ প্রকাশিত হয় তারই সম্পাদনায়। এ সময় এক বছরের জন্য কারাবন্দি থাকতে হয় তাকে।

আল মাহমুদের প্রথম বই ‘লোক লোকান্তর’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৩ সালে। দ্বিতীয় বই ‘কালের কলস’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৬ সালে। এ দুটি কবিতার বইয়ের জন্য তিনি ১৯৬৮ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। মুক্তিযুদ্ধের পর গল্প লেখায় মনোযোগী হন আল মাহমুদ। ১৯৭৫ সালে তার প্রথম ছোটগল্পের বই ‘পানকৌড়ির রক্ত’ প্রকাশিত হয়। পরে ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের সহপরিচালক পদে নিয়োগ দেন। পরে তিনি পরিচালক হন। ১৯৯৩ সালে তিনি অবসর নেন।

সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত ‘সমকাল’ এবং কলকাতার ‘নতুন সাহিত্য’, ‘চতুস্কোণ’, ‘ময়ূখ’, ‘কৃত্তিবাস’ ও ‘কবিতা’ পত্রিকায় লেখালেখির সুবাদে ঢাকা ও কলকাতার পাঠকদের কাছে তার নাম সুপরিচিত হয়ে ওঠে। ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস ‘কবি ও কোলাহল’। 

তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে ‘অদৃষ্টবাদীদের রান্নাবান্না’, ‘মিথ্যাবাদী রাখাল’, ‘কাবিলের বোন’, ‘উপমহাদেশ’, ‘ডাহুকি’, ‘আগুনের মেয়ে’, ‘চতুরঙ্গ’ ইত্যাদি। ‘যেভাবে বেড়ে উঠি’ তার আত্মজীবনী গ্রন্থ। ছড়া রচনাতেও তিনি ছিলেন অতুলনীয়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ- সবকিছুই তার ছড়ায় উঠে এসেছে এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ঢেউ তুলছে।

আল মাহমুদ তার কর্মের স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, জয় বাংলা পুরস্কার, হুমায়ুন কবীর স্মৃতি পুরস্কার, জীবনানন্দ স্মৃতি পুরস্কার, কাজী মোতাহার হোসেন সাহিত্য পুরস্কার, কবি জসীমউদ্‌দীন পুরস্কার, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার, নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদকসহ বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।

বাংলা৭১নিউজ/এমএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com