মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের দায়িত্ব নেয়ার আগের দিন উত্থান-পতনের মিশ্র প্রবণতায় বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের কেনাবেচা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) এক ব্যারেল অপরিশোধিত ইন্টারন্যাশনাল বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট তেল বিক্রি হয়েছে ৫৫.০১ ডলারে। আগের দিনের সর্বশেষ দামের চেয়ে এই বাজার দর দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি। তবে, এরপরও বাজারের তথ্য বলছে, এই তেলের দাম গত সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ের তুলনায় প্রতি ব্যারেলে ২ ডলার করে কম।
আবার এদিন এক ব্যারেল আমেরিকান বেঞ্চমার্ক কেনাবেচা হয়েছে ৫২.৩২ ডলারে। অপরিশোধিত এই জ্বালানি তেলের দাম আবার আগের দিনের (সোমবার) তুলনায় দশমিক ১৯ শতাংশ কম।
২০২০ সালে করোনার দাপটের মধ্যেও যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা ব্যাপকহারে কমতে থাকলেও ২য় শীর্ষ তেল শোধনকারী দেশ চীনে এর চাহিদা ঠিকই তুঙ্গেই ছিল।
চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর দেয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, মহামারিকালেও ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর ৩ শতাংশ বেশি জ্বালানি তেল শোধন করেছে। চীনের এই চাহিদাই বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
চীনেই করোনার উৎপত্তি হয়েছিল, যেখান থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি। সেই চীনের অর্থনীতিতেই তেমন কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেনি করোনা। গেল বছর ২ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে দেশটির। তাই চলতি বছরের শুরু থেকে জ্বালানি তেলের বাজারে জ্বালানির যোগানও চীনই দেবে বলে ধরা হচ্ছে।
তবে, দুশ্চিন্তায় ফেলেছে করোনার ২য় ধাপের সংক্রমণ। এরই মধ্যে এটি রোধে চীনের ৩টি প্রদেশের অন্তত ১১টি অঞ্চল লকডাউনে গেছে। সোমবারের (১৮ জানুয়ারি) লকডাউনের হিসাবে দেখা যাচ্ছে ফ্রান্স, ইতালি, গ্রিস তাদের রাতের কারফিউ চলমান রাখছে আর জার্মানি এ ব্যাপারে কতটা কঠোর হবে তা নির্ভর করছে দেশটির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের সঙ্গে সে দেশের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মঙ্গলবার আয়োজিত বৈঠকে গৃহিত সিদ্ধান্তের ওপর।
এদিকে, ডেনমার্কের স্যাক্সো ব্যাংকের পূর্বাভাসের পরিষ্কার কিছু বলা না হলেও সোমবার ব্যাংকটি জানিয়েছে, করোনার এই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার মধ্যে জ্বালানি তেলের চাহিদা বৃদ্ধি সত্যিই বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়।
বাংলা৭১নিউজ/এআর