করোনা মহামারিতে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও ভালো নেই প্রবাসী শ্রমিকরা। ইতোমধ্যেই কাজ হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন অনেকেই। প্রবাসীদের সমস্যা জানা এবং সমাধান চাইলেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই করা সম্ভব। এ জন্য নীতিনির্ধারকদের একটি কমন প্ল্যাটফর্ম তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন অভিবাসন খাত সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) অভিবাসন নিয়ে কাজ করা সংগঠন-রামরুর নিবাহী পরিচালক ড. সি আবরার সঞ্চলনায় এক ওয়েবিনারে এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন ড্যাফোডিল গ্রুপের সিইও মোহাম্মদ নুরুজ্জামান।
করোনাপরবর্তী সময়ে প্রচলিত শ্রমবাজারে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নতুন শ্রমবাজার খোঁজার পরামর্শ দেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সাবেক পরিচালক ড. মো. নুরুল ইসলাম।
ইতোমধ্যে যারা কাজ হারিয়ে দেশে ফিরেছেন তাদের সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে পুনর্বাসনে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে শ্রমিকদের উন্নত প্রশিক্ষণের ওপরও জোর দেন ড. নুরুল।
তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে যেতে অনেক খরচ হয় প্রবাসীদের। রয়েছে মধ্যস্বত্বভোগী দালালদের দৌরাত্ম্য। অনেক সময় টাকা দিয়ে প্রতারিত হন বিদেশ গমনেচ্ছু শ্রমিকরা। করোনার কারণে এমনিতেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদেশ থেকে ফেরত আসা শ্রমিকরা। করোনার পর বিদেশে যেতে ভোগান্তি কমানোর পাশাপাশি বাড়তি খরচ কিংবা প্রতারিত না হন সেজন্য পুরো অভিবাসন প্রক্রিয়াকে ডিজিটালাইজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
এতে খরচ কমবে। দালাদের দৌরাত্ম্য কমবে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এনজিও অভিবাসন নিয়ে কাজ করা সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে