সারাদেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৮০ হাজারের অধিক শূন্য আসনে দ্রুত সময়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এ তথ্য জানান।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) গত এক বছর আগে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৮০ হাজারের অধিক শূন্য পদের তালিকা সংগ্রহ করলেও নিয়োগ কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে এ নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে মন্ত্রী জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এনটিআরসিএর সাবেক চেয়ারম্যান চলে যাওয়ার পর অনেকদিন এ পদটি শূন্য ছিল। এ জন্য বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক শূন্য থাকলেও নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এনটিআরসির নিয়োগসহ নানা বিষয়ে আদালতে অসংখ্য মামলা রয়েছে। এ কারণে বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলেও তা বাস্তবায়ন করতে বিলম্ব হয়ে যাচ্ছে। আমরা সব সমস্যাগুলো পেরিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে কীভাবে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা যায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হতে পারে। যদি করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ক্লাস হতে পারে। এ সময়ে পিছিয়ে পড়া সিলেবাস শেষ করা হতে পারে।
মন্ত্রী আরো বলেন, এখন থেকে ক্লাসে আর কোন রোল নাম্বার থাকবে না। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে আইডি নম্বর। এর মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদেরকে শনাক্ত করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের একটি ইউনিক আইডি দেয়ার কাজ করছি। সেটির মাধ্যমে তার শিক্ষাজীবন শেষ করবে। রোল নম্বরের পরিবর্তে আমরা সেই ইউনিক আইডি দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ক্লাসে ইউনিক আইডির মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে চিহ্নিত করা হবে।’
২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মহামারি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে পেছানো হচ্ছে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষা। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আসছে বছরের জুন মাসে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। একইভাবে আসছে বছরের জুলাই বা আগস্ট মাসে অনুষ্ঠিত হতে পারে এইচএসসি পরীক্ষা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহাবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা এবং বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানরা।
বাংলা৭১নিউজ/সর