নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, দিনাজপুরের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অন্যরকম সহানুভূতি আছে। কারণ দিনাজপুরের মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দেয়। মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) দিনাজপুরে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এমন একটা উন্নয়নের দিকে নিয়ে গেছেন যে, বিরোধিতার খাতিরে কেউ সমালোচনা করতে পারে কিন্তু বিরোধী দলও এই উন্নয়নের কথা স্বীকার করতে বাধ্য।
নৌপ্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পঁচাত্তর পরবর্তী কোন নেতা ছিল না বাংলাদেশে। জনগণ মনে করেছেন যে শেখ হাসিনাকে দরকার। প্রশাসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও চেয়েছিলেন শেখ হাসিনার সরকারকে। আজকে সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে প্রয়োজন মনে করেই গত ৩০ ডিসেম্বর সম্মিলিতভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে সরকার প্রধান বানিয়েছে। শেখ হাসিনার আমলে যত উন্নয়ন হয়েছে তার কানাকড়িও এর আগে হয়নি।’
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘ প্রধানমন্ত্রী এমন একজন মানুষ যিনি বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা এবং প্রকল্পের খবর রাখেন। যখন যে জেলার কথা মনে পড়ে কিংবা প্রয়োজন হয় তখনই সেই জেলার বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। পদ্মা সেতুর থেকেও বড় প্রকল্প বাংলাদেশে হচ্ছে। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শেষ হলে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের ৩১তম পর্যায়ে আসবে। এসব সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই।
মন্ত্রী বলেন, ‘দিনাজপুরে আমরা ছয়জন এমপি আছি। আমাদের সবার সমন্বয়ে উন্নয়ন করতে হবে। ব্যক্তি স্বার্থ এখানে দেখা যাবে না। ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে দিনাজপুরের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে। দিনাজপুর জেলায় অনেক রাস্তা ছয় লেন এবং চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। মহাসড়কগুলোর কাজ শেষ হলে এই জেলার মানুষের উন্নয়ন সাধিত হবে। এজন্য আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। দিনাজপুরের উন্নয়নে আরো কি কি প্রয়োজন বা কোন কোন কাজ কোন মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে সেগুলোর বিষয়েও মন্ত্রণালয়গুলোতে কথা বলতে হবে। এজন্য দরকার সমন্বিত প্রচেষ্টা।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন, দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, মহিলা এমপি জাকিয়া তাবাসসুম জুঁই।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন বিপিএম পিপিএম (বার), জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরী, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শরিফুল ইসলাম, জেলার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এবি