অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায়ও কাজ করছে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ। প্রকল্প এলাকাকে সবুজায়ন করার স্বীকৃতিস্বরূপ এরই মধ্যে দুবার প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ পদক পেয়েছে তারা। পরিবেশের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক জানালেন, প্রকল্প এলাকায় একটি অভয়ারণ্য তৈরির বিষয়ে গেজেট পাস হয়েছে।
দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়েটি ধরে আপনি যখন পদ্মা সেতুর প্রকল্প এলাকার দিকে এগিয়ে যেতে থাকবেন, তখন রাস্তার মাঝখানে নতুন লাগানো গাছগুলো আপনাকে একধরনের সজীবতা দেবে।
স্টিল, রড আর কঙ্কক্রিটের কঠিন সেতু। তার পাশেই সবুজের আবহ। প্রকল্পের শুরুতে বিশ্বব্যাংক, জাইকা, আইডিবির মতো আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো সরে গেলেও পরিবেশ রক্ষায় তাদের প্রস্তাবিত মান বজায় রেখেই এখানে চলছে কাজ। প্রকল্পের ৩টি সার্ভিস এরিয়ায় এখন পর্যন্ত লাগানো হয়েছে সাড়ে ১৮ হাজার গাছ।
৪টি পুনর্বাসন কেন্দ্রে বন বিভাগের উদ্যোগে ৬৫ হাজারের বেশি গাছ লাগানো হয়েছে। একইভাবে বনায়ন করা হয়েছে টোল প্লাজা, সংযোগ-সড়ক এলাকাতেও। সব মিলে পদ্মা সেতু প্রকল্পে এখন পর্যন্ত গাছ লাগানো হয়েছে এক লাখ ৭৩ হাজার ২৯৪টি।
গত মাসে এ এলাকায় একটি অভয়ারণ্য তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা পরিবেশবান্ধব কাজ করছি। আমরা সব ধরনের আন্তর্জাতিক মান মেনে চলছি। আমাদের গেজেটও হয়ে গেছে।
প্রকল্পের কারণে পরিবেশগত কোনো বিপর্যয় যাতে না হয়, সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা হচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/সর