চাঁদপুরে গড়ে উঠেছে বিষমুক্ত বিদেশি ফলের বাগান। জেলার মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় চাষ হচ্ছে তরমুজের। মাত্র কয়েক দিনে পূর্ণতা পেয়েছে অর্গানিক এই তরমুজ। চলছে বাজারজাতকরণের কাজ। এমন ফলের বাগান আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। একই সঙ্গে সৃষ্টি হয়েছে বেকারদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান।
থরে থরে লাইন ধরে সাজানো বিভিন্ন জাতের বিদেশি তরমুজ। কোনোটি হলুদ আবার কোনোটা কমলা রঙের। এই বাগানে ড্রাগন ও ক্যাপসিকামও বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হচ্ছে। পরিবেশদূষণ হচ্ছে তাই ৬০ বছরের পারিবারিক ইটভাটা বন্ধ করে বিশাল এলাকাজুড়ে বিদেশি ফলের বাগান গড়ে তুলেছেন পেশায় গণমাধ্যমকর্মী হেলাল উদ্দিন।
চাঁদপুর সদরের শাহতলী গ্রামে গড়ে তোলা বাগানে কয়েক মাস আগে চাষ শুরু করেন থাইল্যান্ড থেকে আনা বিভিন্ন জাতের তরমুজ। মাত্র তিন মাসেই পরিপক্ব তরমুজের ফলন হচ্ছে।
ফল বাগানের মালিক হেলাল উদ্দিন বলেন, ফলের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে অর্গানিক পণ্য পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই আমি কাজ করে যাচ্ছি।
এতে সৃষ্টি হয়েছে বেকারদের কর্মসংস্থানও।
চাঁদপুরের মাটি ও আবহাওয়া বিদেশি জাতের তরমুজসহ অন্যান্য ফল চাষ করার উপযোগী বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
চাঁদপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এখানকার মাটিতে রকমেলন, হানিডিউস, সুইটমেলন ও ক্যাপসিকামের মতো ফলের ব্যাপক ফলন দেখা গেছে।
পারিবারিক দুটি ইটভাটার সাত একর জমিতে আধুনিক বিদেশি জাতের ফলের বাগান গড়ে তুলতে ঢাকায় নিজের বাড়িও বিক্রি করেন হেলাল উদ্দিন।
বাংলা৭১নিউজ/এমএন