মাদারীপুরের শিবচরে গেলো দুই মাসে ১৭টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে একটি মা ও শিশু হাসপাতালসহ বেশ কিছু এলাকাতে এখনও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে সব এলাকাতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে চুরি বা ডাকাতির মতো বড় কোনও ঘটনা।এদিকে বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ থাকায় ওই সব এলাকার বেশ কিছু মানুষ এখনও অন্ধকারের জীবন যাপন করছে।
এতে একদিকে যেমন শিশুদের পড়ালেখা ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে সন্ধ্যা হলেই চুরি বা ডাকাতির আতঙ্কে থাকছে এলাকাবাসী।সেখানে গিয়ে জানা যায়, শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দি, নিলখী, উমেদপুর, শিরুয়াইল, বরেহাতলা দক্ষিণ ও সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নসহ দুই মাসে ৬টি ইউনিয়নে ১৭টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়। যার বাজার মূল্য ১২ লাখ টাকার ও বেশি।
এসব এলাকার অধিকাংশ গ্রাহকেই ট্রান্সফরমার ভর্তুকির অর্ধেক টাকা জমা না দিতে পারায় অন্ধকারে জীবন যাপন করছে। এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত চুরি হওয়া ট্রান্সফরমারগুলো কোনও প্রকার ভর্তুকি ছাড়া কর্তৃপক্ষ যেন স্থাপন করে।একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব নিয়েও রয়েছে অসন্তোষ। বহেরা তলা দক্ষিণ ইউপির মেম্বার আফজাল হোসেন বলেন, একই রাতে আমাদের এলাকায় ২টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে।বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব ভালো পুলিশ বাহিনী চুরি প্রতিরোধে একটু তৎপর থাকলে এসব ঘটনা প্রতিরোধ করা খুব সহজ হতো।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ থাকাকালীন সময় যদি ট্রান্সফরমার চুরি হতে পারে তবে এখন তো অন্ধকার। এখন আরও বড় কোনও ঘটনাও ঘটতে পারে।এ বিষয়ে মাদারীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মো. আকমাল হোসাইন জানান, সম্প্রতি শিবচরে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরি বেড়ে গেছে। চুরি ঠেকাতে আমরা উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় থানাকে লিখিতভাবে অবগত করেছি। ট্রান্সফরমার চুরির কারণে যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে আমরা আইনের মধ্যে থেকে দ্রুত সেই এলাকাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার চেষ্টা করছি।
বাংলা৭১নিউজ/এএম