বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান এবং গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে যে, ঐক্যবদ্ধ থাকলে বাঙালি জাতি সবকিছু অর্জন করতে পারে।
রোববার (২৭ জুলাই) মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, আমরা পারি এবং আমার বিশ্বাস যে, আমি আমরা পারব। নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের দাবি নিয়ে সামনে দাঁড়াতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা দেশের মানুষের পালস বুঝি। তারা উন্নতি চায়, একটি সত্যিকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চায়। আর এই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়েই সব সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, বিএনপি দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং জনগণের জীবন-জীবিকার প্রশ্ন জড়িত থাকায় বিএনপি এই অঞ্চলগুলোর উন্নয়নে অত্যন্ত সচেতন। জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে যেকোনো কঠিন কাজই সম্ভব। জনগণের ঐক্যবদ্ধ দাবিই পরবর্তী সরকারগুলোকে এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে বাধ্য করবে।
পদ্মা ব্যারেজ-দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে প্রয়োজন রাজনৈতিক অঙ্গীকার
মির্জা ফখরুল বলেছেন, পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক অঙ্গীকার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। জনগণের মধ্য থেকে এই দাবি উঠে এলেই তা সম্ভব হবে।
প্রায় ৮ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা পদ্মা ব্যারেজ ও পদ্মা সেতুর সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাতবার সম্ভাব্যতা যাচাই হলেও এখন পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। ভাসানী যেমন ফারাক্কা সমস্যাকে শুধু দেশীয় নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন, তেমনি পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর দাবি নিয়েও জনগণের মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি করা উচিত।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফারাক্কা ব্যারেজ শুধু ফরিদপুর বা নির্দিষ্ট কোনো এলাকার সমস্যা নয়, এটি সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের সমস্যা। এ অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তা ও জীবন-জীবিকা রক্ষায় পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি। নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের দাবি নিয়ে সামনে দাঁড়াতে হবে, যে সরকারই আসুক না কেন তাদের এই বিষয়ে কাজ করতে হবে।
পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এবং পরিবেশ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত, সিপিডি ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এবি