রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১১:০৪ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
৮ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠন হবে ছাত্রবলয়’ ঐক্যবদ্ধ থাকলে বাঙালি জাতি সবকিছু অর্জন করতে পারে : মির্জা ফখরুল নতুন সংবিধানের জন্য গণপরিষদ নির্বাচন লাগবে: নাহিদ ইসলাম বিচার ব্যবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন: শিল্প উপদেষ্টা সোমবারের মধ্যে দলগুলোর কাছে যাবে জুলাই সনদের খসড়া : আলী রীয়াজ সেনাপ্রধানের ভূয়সী প্রশংসায় সারজিস যুক্তরাষ্ট্র গেলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় এবার থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে সম্মত গ্রিন শিপইয়ার্ড না হলে জাহাজভাঙা কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে

বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে ছাড়পত্র পেলেন আরো দুইজন, চিকিৎসাধীন ৩৪

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আহতদের মধ্যে আরো দুইজনকে ছাড়পত্র দিয়েছে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। এ নিয়ে হাসপাতালটি থেকে মোট চারজন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন।

রোববার (২৭ জুলাই) বিকেল তিনটায় হাসপাতাল চত্বরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন।

তিনি বলেন, মোটামুটি সুস্থতা লাভ করায় আজ দুজনকে আমরা রিলিজ দিয়েছি। বর্তমানে ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৪ জন রোগী, যাদের মধ্যে ২৮ জন শিশু এবং ৬ জন প্রাপ্তবয়স্ক।

হাসপাতাল পরিচালক জানান, আজ ছাড়প্রাপ্তদের একজন উদ্ধারকারী কাজী আমজাদ সাইদ, যিনি দুর্ঘটনার সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার কাজে অংশ নেন। অপরজন সবুজা আক্তার, যিনি ছিলেন মাইলস্টোন স্কুলের একজন নারী কর্মী (আয়া)।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ভর্তি থাকা ৩৪ জন রোগীর মধ্যে চারজন রয়েছেন আইসিইউতে। তাদের মধ্যে দুজন রয়েছেন লাইফ সাপোর্টে (ভেন্টিলেটর)। এই দুই রোগী হলেন ১৪ বছর বয়সী আয়ান, যার শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে এবং ইনহেলেশন ইনজুরিও রয়েছে; এবং নাবিদ নেওয়াজ, যিনি ৫৩ শতাংশ দগ্ধ ও ইনহেলেশন ইনজুরিতে আক্রান্ত। এছাড়াও মেডিকেল এইচডিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩ জন, ফিমেল এইচডিইউতে ৬ জন, পোস্ট-অপারেটিভ ওয়ার্ডে ৮ জন এবং কেবিনে আছেন ১২ জন।

সব মিলিয়ে এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে ৪ জন সংকটাপন্ন (ক্রিটিক্যাল) এবং ৯ জন গুরুতর (সিভিয়ার) অবস্থায় রয়েছেন। ইনহেলেশন ইনজুরিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭ জন এবং শরীরের ৩০ শতাংশ বা তার বেশি পুড়ে যাওয়া রোগীর সংখ্যা ৬ জন।

আজ নতুন করে আইসিইউতে কাউকে ভর্তি করা হয়নি, তবে চারজন রোগীর অবস্থা গুরুতর থেকে সংকটাপন্ন পর্যায়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এদের মধ্যে আছেন ১৫ বছর বয়সী তাসনিয়া, যিনি ৩৫ শতাংশ বার্ন ও ইনহেলেশন ইনজুরিতে আক্রান্ত; ১০ বছর বয়সী আবিদুর রহিম, যিনি ২২ শতাংশ বার্নে আক্রান্ত; আগে থেকেই আইসিইউতে থাকা নাবিদ নেওয়াজ এবং সেহেল ফারাবি আয়ান, ৪০ শতাংশ বার্নে আক্রান্ত।

এদিকে, রোববার পর্যন্ত নতুন কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত বার্ন ইনস্টিটিউটে মৃত্যুর সংখ্যা ১৭-তেই স্থির রয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, ইনহেলেশন ইনজুরি ও উচ্চমাত্রার বার্নে আক্রান্ত রোগীদের অবস্থা এখনো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি অধিকাংশ রোগীই শিশু, যাদের শারীরিক চিকিৎসার পাশাপাশি মানসিক পুনর্বাসনের প্রয়োজন রয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, এই রোগীদের দীর্ঘমেয়াদি পরিচর্যা, সেলাই, স্কিন গ্রাফটিং, ইনফেকশন প্রতিরোধ ও ফিজিওথেরাপিসহ নানা চিকিৎসা সহায়তা প্রয়োজন। ফলে আজকের ছাড়পত্র সাময়িক স্বস্তি দিলেও বাকি রোগীদের সামনে এখনো লম্বা ও কঠিন চিকিৎসা প্রক্রিয়া অপেক্ষা করছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com