বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে পানিতে প্লাবিত হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। কোথাও আড়াই ফুট, আবার কোথাও সাড়ে তিন ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে করমজল থেকে কটকা পর্যন্ত বনের অভ্যন্তরভাগ পানিতে তলিয়ে যায়।
তবে বন বিভাগ জানিয়েছে, এতে সুন্দরবনের বনজ সম্পদ বা বন্যপ্রাণীর তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির জানান, শনিবার দিনের জোয়ারে স্বাভাবিকের তুলনায় পানি বেড়েছে আড়াই থেকে সাড়ে তিন ফুট।
এর ফলে করমজল, জোংড়া, মরাপশুর, হাড়বাড়ীয়, ঘাগরামারী ও লাউডোব এলাকায় আড়াই ফুট এবং হিরণপয়েন্ট, কটকা ও কচিখালী এলাকায় সাড়ে তিন ফুট উচ্চতার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়।
তিনি বলেন, ‘বনের অভ্যন্তরে মোট ৪০টি টাইগার টিলা রয়েছে, যেখানে বন্যপ্রাণীরা জোয়ারের সময় আশ্রয় নেয়। ফলে বাঘ, হরিণ, বন্য শুকরসহ অন্যান্য প্রাণীর কোনো ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। সাধারণত দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে ভাটায় পানি নেমে যায়।’
আজাদ কবির আরও জানান, বনের ৮৮টি মিষ্টি পানির পুকুরও নিরাপদ রয়েছে। এসব পুকুরের পাড় উঁচু হওয়ায় লবণাক্ত পানি ঢোকার আশঙ্কা নেই।
তিনি বলেন, ‘অমাবস্যা ও পূর্ণিমার সময় এমনিতেই নদ-নদীতে পানি বেড়ে যায়। এবার অমাবস্যার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নিম্নচাপের প্রভাব। ফলে জোয়ারের মাত্রা আরও বেড়েছে। গরমকালে দিনের জোয়ার বেশি এবং রাতের জোয়ার কম হয়, শীতে ঠিক উল্টো হয়।’
এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে মোংলার পশুর নদীর তীরবর্তী ফসলি জমি, বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাটও প্লাবিত হয়েছে। তবে ভাটায় পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় দীর্ঘমেয়াদি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলেও জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএন