শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিসিএস ক্যাডার! হাইকোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী লামায় অগ্নিসংযোগ: ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উপদেষ্টা-প্রশাসন নসরুল হামিদের ৩৬ কোটি টাকার সম্পদ, অস্বাভাবিক লেনদেন ৩১৮১ কোটি তিন উপদেষ্টাকে বিপ্লবী হতে বললেন সারজিস আলম জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম ফায়ার ফাইটার নিহতের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা কোরিয়া থেকে ৬৯৩ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার সাভারে বন্ধ টিএমআর কারখানা চালুর নির্দেশনা উপদেষ্টার দুদকের সাবেক কমিশনার জহুরুল হকের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু কনস্টাসকে ধাক্কা দেওয়ায় কোহলিকে আইসিসির শাস্তি শেখ হাসিনা-শেখ রেহানার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি ফখরুলের ১১ বছর পর দেশে ফিরছেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক যারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত প্রাণ এএমসিএলের ৩২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন সেতু মন্ত্রণালয় থেকে বাদ যাচ্ছে ১১১৮৬ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বিমানের সিটের নিচে মিলল ২০ সোনার বার, যাত্রী আটক ‘পিলখানা হত্যায় নিরপেক্ষ থেকে ষড়যন্ত্র চিহ্নিত করা হবে’ চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস

মিয়ানমারে ‘গোপন’ সামরিক অর্থায়ন বন্ধ করল জাপানি কোম্পানি

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে

মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীতে অর্থায়নের অভিযোগে দেশটির দুটি বিয়ার কোম্পানি ও ইকোনমিক হোল্ডিংস লিমিটেডের (এমইএইচএল) বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জাপানেরমাল্টিন্যাশনাল বিয়ার ফার্ম কিরিন হোল্ডিংস। প্রাথমিকভাবে লভ্যাংশ দেয়া বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (১৪ নভেম্বর) জাপানের স্থানীয় গণমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে।

এ বছরের সেপ্টেম্বরে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক ব্যবসা কীভাবে মিয়ানমারের সামরিক অর্থায়নের সঙ্গে যুক্ত তার বিস্তারিত তুলে ধরে। ওই প্রতিবেদনের জের ধরে জাপানি কোম্পানি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। ওই প্রতিবেদনে কিছু ইউনিট আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে প্রত্যক্ষভাবে দায়ী বলে উল্লেখ করা হয়। এমইএইচএল থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও শেয়ারহোল্ডারদের অফিসিয়ালি ফাঁস হওয়া নথি বিশ্লেষণ করে তদন্ত প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।

কিরিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে ব্যবসায়িক পরিবেশের অভাব বিবেচনা করে এই সাময়িক স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

জাপানি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন প্রকাশের আগে এ বিষয়ে পরিষ্কার তথ্য ছিল না জাপানি কোম্পানি কিরিন হোল্ডিংসের কাছে। অগোচরেই রোহিঙ্গা গণহত্যাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘণে মিয়ানমার আর্মিকে অর্থায়ন করে যাচ্ছিল দেশটির বেশ কয়েকটি কোম্পানি। এসব কোম্পানির সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক সম্পর্ক এমনকি মালিকানাও রয়েছে। যার মধ্যে জাপানের কিরিন হোল্ডিংস অন্যতম।

জুনে নাগরিক সমাজের তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হওয়ার পর মিয়ানমার ব্রুওয়ারি লিমিটেড ও ম্যান্ডলে ব্রুওয়ারি লিমিটেড, এই দুই যৌথ-উদ্যোগ তদন্তের জন্য ‘ডেলোয়েট’ নামের একটি পরামর্শক সংস্থাকে নিয়োগ দেয় কিরিন। এমইএইচএল’র শেয়ারহোল্ডার রেকর্ডে দেখা গেছে, দেশটির সামরিক ইউনিটগুলো এমইএইচএল’র প্রায় এক তৃতীয়াংশ শেয়ারের মালিক।

১৯৯০ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে শেয়ারহোল্ডারদের প্রাপ্ত বার্ষিক লভ্যাংশ প্রদানের তথ্য অনুযায়ী, এমইএইচএল এই ২০ বছরে মোট ১৮ বিলিয়ন ডলার লভ্যাংশ দিয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার সামরিক ইউনিটগুলোতে স্থানান্তরিত হয়। গত ১১ নভেম্বর এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, ডেলোয়েটের তদন্তের ভিত্তিতে কিরিনের উচিত এমইএইচএল’র সঙ্গে সব ব্যবসায়িক সম্পর্ক দায়িত্ব নিয়ে শেষ করা।

সেপ্টেম্বরে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রকাশিত গবেষণায় দেখা যায়, এমইএইচএল’র ব্যবসায়িক অংশীদার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ আছে। এমইএইচএল মিয়ানমারে যৌথ উদ্যোগ বা লাভ-ভাগাভাগির চুক্তি প্রতিষ্ঠায় এই ব্যবসায়িক অংশীদারদের সহযোগিতায় কাজ করে। যখন এগুলো থেকে লাভ হয়, তারা এমইএইচএলকে শেয়ারহোল্ডার হিসেবে সরবরাহ করে। পরে এমইএইচএল তার নিজস্ব শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ বিতরণ করে।

বাংলা৭১নিউজ/এএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com